ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ ?

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ সহজ জানা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের দেশের শিক্ষার্থী এস এস সি, এইচ এস এস বা দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর সাধারণত যোগ্যতা অর্জন করে থাকে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য। সেই সাথে আই ই এল টি এস ,পি টি ই  বা টফেন পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়।
ব্যাচেলর-প্রোগ্রামে-স্টুডেন্ট-ভিসায়-স্পউস-সহ-কোন-দেশ
এ সব দেশে বছরে দুই টা ইনটেক দিয়ে থাকে ফেব্রুয়ারী ও সেপ্টেম্বর। সেই ক্ষেত্রে অনেক দেশে যাওয়া যায় । কিন্তু কিন্তু ক্যারিয়ার গড়া যায় এমন দেশ নিয়ে নিম্নে বর্ণনা করা হলো। এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন বাংলাদেশ থেকে ব্যাচেলার প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ সহজ।

পোস্ট সূচিপত্র :ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ ?

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ ?

ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ যাবেন। ইউরোপ হয়ে ব্যাচেলর প্রোগ্রামে অনেক দেশেই স্পাউস নিয়ে যাওয়া যায়। মূলত আজকের টপিক কোন দেশ কিভাবে কত দিনে কাজ করে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো। ইউরোপ ছাড়াও আরো কিছু দেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। যেগুলো তুলনামূলক সহজ হয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ, যে সকল দেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

যেগুলোতে আশা করা যায় আপনি যদি সঠিক গঠন অনুযায়ী অগ্রসর হতে পারেন। তাহলে অবশ্যই ভিসা হবে। সেই সাথে আপনাকে সকল পেপার রেডি রাখতে হবে। তাদের ওয়েবসাইটে সকল প্রকার রিকোয়ারমেন্ট দেওয়া আছে। আশা করি আপনার কাজে লাগবে এবং বুঝতে পারবেন আপনার জন্য ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ। নিম্নে সকল দেশের বর্ণনা দেওয়া হল এবং ওয়েবসাইট লিংক দেওয়া হল।

ডেনমার্কঃ

ব্যাচেলর প্রোগ্রাম এ ডেনমার্ক আপনার জন্য আইডিয়াল হতে পারে। কেননা ব্যাচেলর স্পাউস এর জন্য ফুল টাইম জব করার সুযোগ। সেই সাথে ক্যান্ডিডেটের জব করার সুযোগ এবং পাবলিক ইউনিভার্সিটি ব্যাচেলর শেষ করে ৩ বছরের ফুল টাইম জব করার সুযোগ শর্ত সাপেক্ষে বাড়াতে পারবে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ক্ষেত্রে ৬ মাসের জব করার সুযোগ দিয়ে থাকে এইটি ও বাড়াতে পারবেন শর্ত সাপেক্ষে।

সিটিজেনশিপ পাওয়া কিছুটা কঠিন ডানিশ ভাষা শিখা লাগে। প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে আই ই এল টি এস-৬, পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ৬.৫ সাধারণত দরকার হয়। ক্যান্ডিডেটের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হয় না স্পাউস এর ক্ষেত্রে  জন প্রতি ১৬ লাখ টাকা দেখাতে হয়। ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ ? ডেনমার্ক হতে পারে বেস্ট। ডেনমার্কের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের লিংক দেওয়া হল।

সুইডেনঃ

৯৫ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে ইউরোপের উন্নতম দেশ সুইডেন। সুইডেন ব্যাচেলর প্রোগ্রাম এ স্পাউস সহ আনুমতি দিয়ে থাকে। সেই ক্ষেত্রে ক্যান্ডিডেট বা স্পাউস উভয় এর ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। অন্যান্য দেশের মত বছরে দুই টা ইনটেক দিয়ে থাকে ফেব্রুয়ারী ও সেপ্টেম্বর। এই ক্ষেত্রে ও ই এল টি এস-৬/৬.৫ হয়ে থাকে ইউনিভার্সিটির উপর নিরভর করে।

সুতরাং সুইডেন আপনার জন্য আর একটি অপশন হতে পারে। বর্তমানে স্কিল জব এর পাশাপাশি ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। সিটিজেন শিপ পাওয়া সম্ভব। সুইডেনের কিছু ও ভার্সিটি  বেস্ট। IELTS স্কোর ভালো থাকলে চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ মনে প্রশ্ন থাকলে এই দেশ নিয়ে বিস্তারিত দেখতে পারেন নিচের ওয়েবসাইট দেওয়া হলো।

ফিনল্যান্ডঃ 

ফিনল্যান্ড হল সুইডেন, রাশিয়া, নারওয়ের পাশাপাশি ইউরোপের একটি দেশ। বসবাস কারার জন্য দেশটি মানুষের পছন্দের উন্নতম। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে সস্টুডেন্ট ভিসাই অনেকেই পাড়ি দিচ্ছে। ব্যাচেলর প্রোগ্রাম এর জন্য স্পাউস আনুমতি দিয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রে ও ই এল টি এস-৬/৬.৫ হয়ে থাকে ইউনিভার্সিটির উপর নিরভর করে।

বর্তমানে জব নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন রয়েছে মানুষ কিন্তু স্কিল জব পাওয়া সম্ভব। সিটিজেন শিপ পাওয়া সম্ভব সময়ই সাপেক্ষে । এই দেশটা সব দিক দিয়ে ভালো বিশেষ করে PR নিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। ফ্রেন্ডল্যান্ডে অনেকগুলো ইউনিভার্সিটি রয়েছে। জয়েন অ্যাপ্লিকেশন করতে ১০০ ইউরো লাগে। নিম্নে ওয়েবসাইট দেওয়া হলো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন।

চাইনাঃ

আয়তনে প্রায় ৯৬ লাখ বর্গকিলোমিটার দেশটিতে পাড়ালেখা করে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে। সেখানেও স্পাউস নিয়ে যেতে পারেন । দেশটিতে স্কলারশিপ পাওয়ার সুবিধা আছে এই ক্ষেত্রে আই ই এল টি এস-৭ হয়ে প্রয়োজন থাকে। চাইনা তে জব করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে , বা আপনি যদি স্কিল হয়ে থাকে তাহলে আর ও বেশি সুযোগ পাবেন।

এমনকি বাংলাদেশ থেকে কাছে হওয়ার ফলে যাতায়ত ভাড়া কম। চাইনা থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ মালামাল ইনপুট হয় বাংলাদেশে তাই বিজনেস করার সুযোগ রয়েছে। চায়না থেকে বাংলাদেশ সিএনএফ এর মাধ্যমে ইনপুট হয়ে থাকে যা সাত দিন ৪০ দিন সাধারণত লাগে। চাইনা হতে পারে আপনার জন্য ক্যারিয়ার করার অন্যতম দেশ। সুতরাং বুঝতে পারছেন ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ আপনার জন্য ভালো।

আইসল্যান্ডঃ

একাডেমিক রেজাল্ট ভালো হলে ও আই ই এল টি এস ৬.৫ থাকলে ইউনিভার্সিটি অফ আইসল্যান্ড দেখতে পারেন এই ইউনিভার্সিটিতে কোন টিউশন ফি নেই। এদেশে খুব অল্প কয়েকজন বাংলাদেশী আছে যারা মাস্টার্স লেভেলে লেখাপড়া করেছেন। ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ যাবেন মনে হলে আইসল্যান্ড অন্যতম হতে পারে।

বর্তমানে ব্যাচেলর জন্য এদের হতে পারে আপনার জন্য কেননা বর্তমানে ব্যাচেলর প্রোগ্রাম বা মাস্টার্সের জন্য কিছু কিছু ইউনিভার্সিটিতে স্পাউস সহ পড়ালেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। আইসল্যান্ড ও হতে পারে আপনার জন্য ভবিষ্যৎ গড়ার দেশ। আইসল্যান্ডে বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় মানুষ কম যে থাকে কেননা প্রসেসিংটা অন্য দেশের তুলনায় কিছুটা কঠিন। নিজে ওয়েবসাইট দেওয়া হলো

বেলজিয়ামঃ

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে বেলজিয়াম নিয়ে খুব বেশি কেউ কথা বলে না কথা বলে। কিন্তু ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বেলজিয়াম ও অনেক ভালো অপশন হতে পারে আপনার জন্য। ইউনিভার্সিটি অনুযায়ী টিউশন ফ্রি ৯০০ থেকে ৫-৬ হাজার ইউরো হয়। ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে এম্বাসি ভিসা পাওয়ার সহজ। 

কিছু কিছু ইনটেক এ তারা স্পাউস  সহ পারমিশন দেয়। সুতরাং এটিও আপনার জন্য ভালো অপশন হতে পারে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য। Ghen University, Uhasselt, VUB এসব সকল প্রতিটা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টের জন্য অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে। সুতরাং ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ, বেলজিয়াম হতে পারে।

পোল্যান্ডঃ

পোল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশী আছে। আগে অনেক বাংলাদেশী ব্যাচেলর বা মাস্টার্স লেভেলে করতে যেত বর্তমানে সংখ্যাটি যদিও কম। কারণ পোল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি টিউশন ফ্রী অনেক কম। সেই সাথে জীবন যাপনেও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম খরচ হয়ে থাকে। দেশটিতে কিছুদিন আগেও ব্যাচেলার জন্য স্পাউস সহ এলাউ ছিল কিন্তু বর্তমানে স্পাউট পারমিশন নেই।

তবে আশা করা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই  স্পাউস এর পারমিশন চলে আসবে। পোল্যান্ড একটি ক্যারিয়ার গড়ার জন্য আইডিয়াল দেশ হতে পারে আপনার জন্য। University of Warsaw, Warsaw of Technology ইউনিভার্সিটি দুটো পোল্যান্ডে বেশ জনপ্রিয় বা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ মনে হলে পোল্যান্ড দেখতে পারেন।

ফ্রান্সঃ

ফ্রান্সে অনেক ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফি কম সেই সাথে স্কলারশিপ এর ও অফার করে যদি স্কলারশিপ পেয়ে যান । তাহলে ভিসা নিয়ে খুব একটা ঝামেলা হবে না। কিন্তু এম্বাসিতে অনেক ঝামেলা করে থাকে যদি পেপারস  প্রপার না হয়ে থাকে। কিছুসংখ্যক ইউনিভার্সিটিতে ব্যাচেলারে স্পাউস এলাউ করে থাকে। সুতরাং এটি আপনার জন্য হতে পারে আইডিয়া।

University of Paris-Saclay, Universite de Paris, Saint-Aubin সকল ইউনিভার্সিটিতে টিউশন ফি অনেক কম হয়ে থাকে। নিচে যে ওয়েবসাইট দেয়া হয়েছে ওয়েবসাইট থেকে সকল বিস্তারিত দেখতে পারেন। এই সকল ইউনিভার্সিটিতে যদি আপনার চান্স হয়ে যায় সাথে ভিসা তাহলে আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবতে হবে না।ব্যাচেলর প্রোগ্রামে স্টুডেন্ট ভিসায় স্পাউস সহ কোন দেশ উত্তরে ফ্রান্স বলা যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ
কোটি টাকা আয় করার উপায়

লেখকের মন্তব্যঃ

বাংলাদেশ থেকে কোন দেশে স্পাউস  সহ যাওয়া যাবে উক্ত আলোচনা করেছি  আমাদের রিসার্চ অনুযায়ী। আমরা আপনাকে সাজেস্ট করব ডেনমার্ক কেননা ডেনমার্কে তুলনামূলক সহজে আপনি যেতে পারবেন। অনেকেই বলে থাকে যে ডেনমার্কের যদি আপনি অফার  লেটার পেয়ে যান তাহলে এক পা  আপনার চলে গিয়েছিলে ডেনমার্কে।

অপশন বি হিসাবে আপনি রাখতে পারেন সুইডেন আমেরিকা বা ফিনল্যান্ড। উপরে যে সকল দেশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যে সকল দেশে মূলত তুলনামূলক সহজভাবে যাওয়া যায়। এ সকল দেশের বাইরেও আরো অনেক দেশে যাওয়া যায়। অন্য দেশ সম্পর্কে আমাদের ওয়েবসাইট দেওয়া আছে বিস্তারিত দেখার আমন্ত্রণ রইল। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url