D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা-সম্পূর্ণ জানুন

D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা সাধারণত এই ওষুধ ভিটামিন ডি সম্পূরক করতে ডাক্তারেরা খাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে থাকে। সূর্যে আলোর সংস্পর্শে কম আসে সে সকল মানুষদের শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দেখা দেয়।

D-rise-400000-এর-কাজ-কি-খাওয়ার-নিয়ম-ও-সতর্কতা

D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা বিস্তারিত জেনে আপনি শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি দূর করতে পারবেন। D rise 40000 IU কেন খাবেন কখন খেতে হয় কখন খাওয়া যাবেনা এর উপকারিতা ও অপকারিতা সাইড ইফেক্ট এবং ক্ষতিকারক দিক সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই আর্টিকেলটিতে।

সূচিপত্রঃ D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা 

D rise 40000 IU একটি ওষুধ যা ভিটামিন D3 (Cholecalciferol) এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত হাড়ের ক্ষয় রোধ ক্যালসিয়ামের ঘাটতি, অষ্টিওপোরসিস, হাইপোক্যালসিয়ামিয়া সহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।

ভিটামিন ডি৩ এর কার্যকরী উপাদান ক্যালসিট্রাইওল সমস্ত টিস্যুতে ভিটামিন ডি রিসেপ্টর যুক্ত হয় এর কার্যকারিতা। ভিটামিন ডি, ক্ষুদ্রান্তে শোষিত হয়ে নির্দিষ্টভাবে প্লাজমার আলফা-গ্লোবিউলিন এর সাথে যুক্ত হয়। ভিটামিন ডি৩ ফ্যাট টিস্যু ও মাংসপেশীতে জমা থাকে ভিটামিন ডি৩ মল ও মূত্রের সাথে বের হয়। আসুন আমরা বিস্তারিত জেনে নেই D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা।

D rise 40000 কি কাজ করে

D rise 40000 IU তে রয়েছে কলিক্যাটসিফেরল ভিটামিন ডি৩। ডি রাইস ৪০০০০ কি ওষুধ যা মানব দেহের ভিটামিন ডি৩ এর ঘাটতি পূরণ করে। এটি শরীরের বিভিন্ন হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘনত্ব ও ফসফরেশের শোষণের সাহায্য করে। এটি দাঁত গঠনেও প্রচন্ডরকম সাহায্য করে। এছাড়াও ডি রাইস ৪০০০০ ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

এটি সূর্যলোকের সাহায্যে কোলেস্টরেল থেকে সংগ্রহ করে মানুষের শরীরের মধ্যে একটি কার্যকর ফ্যাট-দ্রবণীয় ভিটামিন। যে সকল মানুষের সূর্যলোকের সংস্পর্শে কম থাকে এবং ভিটামিন এর স্বল্পতা রয়েছে তাদের জন্য D rise 40000 IU। এছাড়াও ভিটামিন ডি৩ গর্ভাবস্থায় একলামসিয়া প্রতিরোধে এবং শিশুদের পুষ্টির জন্য বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এর বাইরে ও বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় এই ওষুধ ব্যবহার হয়ে থাকে।

D rise 40000 IU কখন খেতে হয়

প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে D rise 40000 IU অর্থাৎ ভিটামিন ডি৩ এর অভাব পূরণের জন্য প্রতি সপ্তাহে একটি D rise 40000 IU ক্যাপসুল ৭ সপ্তহ পর্যন্ত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সকালে ভিটামিন ডি৩ ক্যাপসুল খাওয়া সবচেয়ে বেশি কার্যকর। সকালে খেলে পুষ্টিগুণ সবথেকে বেশি পাওয়া যায়। আসুন আমরা জেনে নেই শরীরে কি সমস্যা হলে কখন ডি রাইস ৪০০০০ খেতে হয়।
  • ভিটামিন D3 এর ঘাটতি পূরন ও প্রতিরোধের জন্য।
  • অস্টিটিও মাইলজমাইলজিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • রিকেটস এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • হাইপো ক্যালসিয়াম (ক্যালসিয়াম কমে যাওয়া) এর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
  • হাইপোথাইরয়েডিজম এর চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়।
  • হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখা ও হাড়ের ক্ষয় রোধে ব্যবহৃত হয়।
  • প্যারা থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণ করতে এটি ব্যবহৃত হয়।
  • গর্ভাবস্থায় এবং শিশুর মাতৃদুগ্ধকালীন সময় দেওয়া হয়।
    D-rise-400000-এর-কাজ-কি-খাওয়ার-নিয়ম-ও-সতর্কতা

D rise 40000 এর ডোজ ও খাওয়ার নিয়ম

D rise 400000 IU এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা বিভিন্ন রোগের জন্য এর আলাদা আলাদা ডোজ রয়েজ। নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
  • ১৬ বছর এবং ৪০ কেজি ওজনের ঊর্ধ্বেঃ D rise 40000 IU প্রতি সপ্তাহে একবার ০৭ সপ্তাহ পর্যন্ত। মেইনটেনেন্স ডোজ হল প্রতিদিন ডি রাইস ৪০০০০ একটি করে ট্যাবলেট খাওয়া যেতে পারে।
  • অস্টিওপোরেসিস এর চিকিৎসার ক্ষেত্রে D rise 40000 IU একটি করে ট্যাবলেট চলবে।
  • শিশু কিশোরীদের জন্য (১২-১৬ বছর) ঃ প্রতি সপ্তাহে একটি করে ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত খেতে হবে। মেনটেনেন্স ডোজ হিসাবে ৬ সপ্তাহ পর একটি করে এক বছর। তবে ওষুধটি খাবারের সাথে অথবা খাওয়ার পরপরই খেতে হবে এতে করে ওষুধের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

D rise 40000 এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া (সাইড ইফেক্ট)

D rise 40000 IU একটি ভিটামিন আর ভিটামিন সা সাপ্লিমেন্ট নিরাপদ ও সহনীয় এতে সাধারণত তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। তবে এটি সতর্কতা অবলম্বন করে সেবন করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ কিছু রোগের ক্ষেত্রে পার্শপ্রক্রিয়া দেখা যায়। D rise 40000 খেলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে তা হল-
  • হাইপার ক্যালসেমিয়া(রক্তে ক্যালসিয়াম অতিরিক্ত হতে পারে)।
  • প্রসাবে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  • শরীরে চুলকানি হতে পারে (হাইপার টক্সিসিটি)।
  • বমি বমি ভাব হতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।

D rise 40000 কখন খাওয়া যাবে না

D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা সম্পর্কিত, কখন D rise 40000 খাওয়া যাবে না জানা অত্যন্ত জরুরী। কেননা শরীরে এক রোগ থাকলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে বিভিন্ন রোগ হতে পারে। D rise 40000 কখন খাওয়া যাবে না বিস্তারিত নিম্নে দেওয়া হল।
  • কিডনি সমস্যা থাকলে যেমন হাইড্রনেফসিস, কিডনি স্টোন থাকলে না খাওয়াই ভালো অথবা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
  • হাই ব্লাড প্রেসার থাকলে খাওয়া যাবে না। এতে করে হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বৃদ্ধি হয়ে হার্টের সমস্যা হতে পারে।
  • D rise 40000 খাওয়ার পর যদি চুলকানি হয় তাহলে পরবর্তীতে এটা গ্রহণ করা যাবে না।
  • অন্যান্য ক্যালসিয়ামের মত এটা প্রতিদিন খাওয়া যাবে না।

D rise 40000 এর সতর্কতা

  • কিডনি অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ছাড়া খাওয়া যাবে না।
  • নির্ধারিত ডোজের বেশি খাওয়া যাবেনা এর ফলে শরীরের অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম জমে হাইপার টক্সিসিটি ও হৃদযন্ত্রের সমস্যা হতে পারে।
  • ওষুধ খাওয়ার পরে চুলকানি হলে D rise 40000 কখনোই খাওয়া যাবেনা।

D rise 40000 IU কি প্রেগনেন্সিতে নিরাপদ?

গর্ভাবস্থায় D rise 40000 IU পর্যন্ত ভিটামিন ডি৩ নিরাপদ। গর্ভবতীদের জন্য দৈনিক সেবনের মাত্রা 400 IU নিরাপদ। তবে যে সমস্ত মেয়েদের প্রেগনেন্সিতে ভিটামিন এর ঘাটতি রয়েছে তারা বেশি মাত্রায় সেবন করতে পারবে। তবে অবশ্যই প্রেগন্যান্সি অবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ভিটামিন ডি৩ সেবন করতে হবে।
D-rise-400000-এর-কাজ-কি-খাওয়ার-নিয়ম-ও-সতর্কতা
এক কথায়, হ্যাঁ D rise 40000 প্রেগনেন্সিতে নিরাপদ। তবে প্রেগনেন্সির সময় যেহেতু অন্য ওষুধ চলে সেজন্য অন্য কোন ড্রাগের সাথে রিয়াকশন হতে পারে তাই রেজিস্ট্যান্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।

D rise 40000 এর মূল্য ও প্রাপ্যতা

  • বর্তমানে বাংলাদেশে D rise 40000 এর একটি ট্যাবলেট এর মূল্য ৩৫ টাকা।
  • ১০ টি ট্যাবলেটে একটি পাতা হয়, যার মূল্য ৩৫০ টাকা।
সাধারণত সারা বাংলাদেশের সকল ফার্মেসীতে এটি পাওয়া যায়। D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা দাম জানাও জরুরী। আগে থেকে মূল্য জানা থাকলে বিভিন্ন ফার্মেসিতে প্রাপ্য মূল্যে
ওষুধ ক্রয় করা যায়।

D rise 40000 IU বিশেষ ক্ষেত্রে ব্যবহার ও সংরক্ষণের নিয়ম

শিশুদের ক্ষেত্রে ডি রাইস ৪০০০০ ব্যবহারঃ ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি৩ এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। সুতরাং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ভিটামিন ডি৩ থেকে বিরত রাখুন।

সংরক্ষণের নিয়মঃ আলো ও আদ্রতা থেকে দূরে রাখুন। ৩০ ডিগ্রি সেঃসিঃ তাপমাত্রার নিচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা জেনে সেবন করুন।

মন্তব্য-D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা

ইতিমধ্যেই আমরা জেনেছি, D rise 40000 এর কাজ কি খাওয়ার নিয়ম ও সতর্কতা সম্পর্কে। ডি রাইস ৪০০০০ এমন একটি ওষুধ যা হাড়ের ক্ষয় রোধ এবং মায়েদের জন্য প্রয়োজনীয় একটি ওষুধ যা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট ডজে সেবন করতে হয় এবং এটি খুব সহজলভ্য।

যেসব মানুষ সূর্যলোকের সংস্পর্শে কম আসে এবং যাদের খাদ্যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে তাদের জন্য অত্যন্ত একটি কার্যকরী ওষুধ হতে পারে D rise 40000। তাই ডি রাইস ৪০০০০ সেবনের আগে অবশ্যই আবার সম্পূর্ণ ধারণার জন্য আর্টিকেলটি পড়ে নিন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
2 জন কমেন্ট করেছেন ইতোমধ্যে
  • Md Munirujjaman
    Md Munirujjaman ২৮ মে, ২০২৫ এ ৬:৪৭ PM

    অনেক সুন্দর হয়েছে। অনেক তথ্যবহুল।

  • Iznabd
    Iznabd ২৮ মে, ২০২৫ এ ৯:৫৯ PM

    ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য 😘

মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url