সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি লেখা। প্রাচীনকাল থেকেই মানব কল্যাণের উপকারী খাদ্য
হিসাবে ব্যবহার হয়ে আসছে চিয়া সিড। যথাযথ উপকার পাওয়ার জন্য এই আর্টিকেলটি
পড়ার অনুরোধ রইলো।
বর্তমান যুগে ফরমালিন মুক্ত খাবারের অভাবে মানুষ পুষ্টিহীনতায় ভোগে। চিয়া
সিডে মাত্র আউন্স পরিমাণে ১৮০ মাইক্রোগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। অনেক পুষ্টিগণ
সমৃদ্ধ হওয়াই পুষ্টিবিজ্ঞানীদের ভাষায় চিয়া সিড কে "সুপার ফুড" বলা
হয়।
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
- চিয়া সিড কি?
- চিয়া সিড সকালে খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ
- চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
- চিয়া সিড খাওয়ার ১০টি কার্যকরী নিয়ম
- গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- শরীরের ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
- রূপচর্চায় চিয়া সিড ব্যবহারের নিয়ম
- চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায় ও দাম কত
- চিয়া সিড এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
চিয়া সিড কি?
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
সম্পর্কে আলোচনায়, প্রথমে আমরা জেনে নেই চিয়া সিড কি? চিয়া সিড গাছগুলো
সাধারণত শস্যজাতীয় উদ্ভিদ। প্রাচীনকাল থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশ ও
মেক্সিকোতে পুষ্টিগুণ খাবার হিসাবে জনপ্রিয়। চিয়া সিড বা CHIA SEEDS এর বাংলা
নাম হল চিয়া বীজ। বাংলাদেশে আগের পরিচিত হলেও বর্তমানে সুপার ফুড হিসাবে
বাংলাদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। চিয়া সিড বাংলাদেশে তেমন উৎপাদন হয় না, কিছু
কিছু জায়গায় বর্তমানে অল্প আকারে চাষ হচ্ছে।
চিয়া সিড মূলত সালভিয়া হিসপানিকা নামক মিন্ট প্রজাতির উদ্ভিদ বীজ। বীজগুলি তরল
শোষক, এটি ভিজানোর পরে ওজনে ১২ গুণ পর্যন্ত হয়। যে পার্ক কলম্বিয়া যুগে
অ্যাজটেকদের দ্বারা ব্যাপক ভাবে চাষ হতো। চিয়া সিড মূলত তোকমার মত
দেখতে। চিয়া সিড এর কার্যকারিতা জেনে নিয়ম অনুসারে খেলে শরীরের বিভিন্ন
পুষ্টির ঘাটতি দূর করে। চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই তারপর নিজের শরীরকে
সতেজ প্রাণবন্ত করে তুলি।
চিয়া সিড সকালে খালি পেটে খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড সকালে খালি পেটে খেলে সবচেয়ে বেশি পুষ্টি পাওয়া যায়। সকালে প্রতিদিন
খালি পেটে চিয়া সিড খেলে শরীরে অতিরিক্ত ওজন থাকবে না। চিয়া সিড ওজন কমানো বা
নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে এক অনন্য খাদ্য। চিয়া সিড সকালে খালি পেটে খেলে
শরীরের অন্যান্য সকল রোগের সমস্যার সমাধান হতে পারে। পুষ্টি গুনের কথা বিবেচনা
করে প্রাচীন কাল থেকে মানুষ চিয়া সিড খেয়ে আসছে। বৈজ্ঞানিকরা তথা পুষ্টিবিদরা এই
খাবারটিকে "সুপার ফুড" হিসাবে নামকরণ করেছে। আসুন আমরা জেনে নেই খালি পেটে চিয়া
সিড খেলে কি কি যথাযথ উপকার পাওয়া যায়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- অতিরিক্ত ওজন কমায় ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।
- মস্তিষ্ক ভালো রাখে, মস্তিষ্ক বিকাশ করে।
- ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করে।
- মানবদেহের হাড় শক্ত করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করে।
- শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করে।
- চেহারায় বয়সের ছাপ দূর করে।
- হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
এর বাইরেও অনেক রোগকে আরোগ্য করতে পারে চিয়া সিড। সকালে খালি পেটে চিয়া
সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম, আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
পড়ে নিয়মিত চিয়া সিড খেলে। মানবদেহের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হবে এই চিয়া
সিড।
চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ
চিয়া সিড খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সম্পর্কে পুষ্টিগুণ জেনে নেওয়া জরুরী।
শরীরের দ্রুত ওজন কমাতে সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানির মধ্যে
দুই চা চামচ চিয়া সিড ও লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে খেলে সবচাইতে বেশি পুষ্টি
পাওয়া যায়। এখন আমরা জেনে নেই চিয়া সিড এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত
তথ্য।
চিয়া সিড ফাইবার, প্রোটিন, ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস
ইত্যাদি পুষ্টিতে ভরপুর। ওমেগা-৩ থাকার কারণে হৃদরোগের ঝুকি কম থাকে। শরীরে
বিভিন্ন রকমের কর্মদক্ষতা বাড়ায়। অনেক বেশি অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকার ফলে রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চিয়া সিড ভিটামিনের পরিমাণ
- শুকনো চিয়া সিডে ৬% পানি
- কার্বোহাইড্রেট ৪২%
- প্রোটিন ১৬%
- ফ্যাট ৩১ %
- ক্যালসিয়াম ৬৩১ মিলিগ্রাম
- লৌহ ৭.৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম ৩.৩৫ মিলিগ্রাম
- ম্যাঙ্গানিজ ২.৭২ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস ৮৬০ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম ৪০৭ মিলিগ্রাম
- জিংক ৪.৬ মিলিগ্রাম
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা
চিয়া সিড শক্তির একটি আদর্শ উৎস হিসাবে পরিচিত। চিয়া সিড শরীরের
যাবতীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে। এতে শরীরের যাবতীয় পুষ্টি ঘাটতি দূর
করতে পারে। চিয়া সিডে রয়েছে উচ্চ মানের
প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা শরীরের শক্তি
মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চিয়া সিড
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে চিয়া সিড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখে। পুষ্টিবিদদের গবেষণায় দেখা গেছে চিয়া সিডে
অমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রক্তনালিতে খারাপ
কোলেস্টরেল কমায়। এবং মানবদেহের রক্ত প্রবাহকে স্বাভাবিক রাখে। বিস্তারিত
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম জেনে, চিয়া সিড খেলে শরীরের জন্য যথাযথ উপকার
পাওয়া যায়।
চিয়া সিড খাওয়ার ১০টি কার্যকরী নিয়ম
চিয়া সিড খাওয়ার কার্যকরী নিয়ম সম্পর্কে জানা জরুরী। কেননা যথাযথ উপকার পেতে
হলে আপনাকে কার্যকারী নিয়মের মধ্যে চিয়া সিড খেতে হবে। চিয়া সিডের নিজস্ব কোন
স্বাদ নেই তাই এটি সাধারণত কোন খাবারের সাথে মিশিয়ে খেতে হয়। ঠান্ডা পানি বা
হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া যায়। সঠিক উপকার পাওয়ার জন্য
কার্যকরী নিয়মগুলো জেনে নেই।
আরো পড়ুনঃ
আম খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
- ঘুম থেকে উঠে সকালে খালি পেটে খেতে হয়। আবার অনেকেই খালি পেটে না খেতে পারলে নাস্তার খেতে পারেন। পানির সাথে শরবত করে।
- ঠান্ডা পানি বা কুসুম গরম পানি এক গ্লাস পরিমাণে নিয়ে সাথে দুই চামচ চিয়া সিড দিয়ে ৩০ মিনিট মত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে অথবা রাত্রে ঘুমানোর আগে খাওয়া যায়।
- সপ্তাহে চার পাঁচ দিন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ চিয়া সিড এবং সাথে দুই তিন চামচ লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এটি দ্রুত ওজন কমানো ভূমিকা রাখে।
- চিয়া সিড কমপক্ষে পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে ক্ষুধা নিবারণ করে। অধিক পরিমাণ পুষ্টি পাওয়া যায়।
-
বেশি স্বাদ পেতে, টক দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- চিয়া সিড অধিক টেস্ট বাড়ানোর জন্য লেবুর রস ফলের রস অথবা মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়। এতে করে পুষ্টি ও বেশি পাওয়া যায়।
-
প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে অন্তত তিন থেকে চার দিন চিয়া সিড খেলে
স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্ভাবনা থাকবে না।
-
আপনি চাইলে ওটস, পুডিং, জুস ইত্যাদি সবার সাথে মিশিয়ে খেতে পারবেন। এতে করে
খাবারের চাহিদা বাড়বে।
- হজম শক্তির ক্ষেত্রে কার্যকরী উপায় চিয়া সিড। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অবশ্যই সকলে খালি পেটে চিয়া সিড খেতে হবে।
-
ওজন কমার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পরিত্রাণ পেতে চিয়া বীজ খেতে
পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদরা।
গর্ভাবস্থায় চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিড গর্ভাবস্থায় খাওয়া নিরাপদ এবং পুষ্টিকর। তবে নিয়মের মধ্যে খেতে
হবে যেমন-বেশি পরিমাণ খাওয়া যাবে না। এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার,
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম থাকে যার ফলে মা ও শিশুর জন্য উপকারী। কিন্তু অতিরিক্ত খেলে
বদহজম হতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্যর মত সমস্যা হতে পারে। জেনে নেই গর্ভাবস্থায় কতটুকু
খাওয়া চিয়া সিড নিরাপদ।
- দিনে ১ থেকে২ চামচ খাওয়া যেতে পারে। (প্রায় ২০ গ্রাম মত)
-
পানিতে ভিজিয়ে ১ থেকে২ চামচ ৩০ মিনিট রেখে খেলে হজম ভালো হয়।
-
গরম পানিতে চিয়া সিড লেবুর রস মধু দিয়ে চা বানিয়ে খাওয়া যেতে
পারে।
-
মুখের রুচি না থাকলে, সালাতের সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
যদি অতিরিক্ত ফাইবার জনিত সমস্যা থাকলে পেট ফাঁপা হতে পারে। রক্তচাপ কমে দিতে
পারে, যদি রক্তচাপ কম মনে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। কারো কারো ক্ষেত্রে
আবার এলার্জি হতে পারে। গর্ভকালীন অবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে শর্করার মাত্রা
কমতে পারে। উক্ত যে কোন সমস্যা হলে-চিয়া সিড খাবার পরিমাণ কমিয়ে দিন এবং
ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
শরীরের ওজন কমাতে চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
চিয়া সিডে রয়েছে উচ্চমাত্রার আমিষ। অনেক উপকারী ফ্যাট রয়েছে তার সত্বেও
দ্রুত ওজন কমাতে সহায়তা করে। তবে এটি নিয়মিত খেলে আপনার দেহের অতিরিক্ত ওজন
কমাতে দারুন ভূমিকা রাখবে। চিয়া সিড এ আছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণের ফাইবার যা ওজন
নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। চিয়া সিড ওর পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করার জরুরী।
সঠিক নিয়মে চিয়া সিড খেলে এটি ওজন কমাতে অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত চিয়া সিড খাওয়ার পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল চর্বি যুক্ত
খাবার পরিহার করতে হবে। কারণ খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ব্যতীত ওজন কমানো দুষ্কর।
চিয়া সিড ওজন কমানোর কার্যকর প্রাকৃতিক উপাদান হিসাবে পরিচিত। সকালে খালি পেটে
চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম অনুযায়ী খেলে ওজন
নিয়ন্ত্রণ হবে দ্রুত।
রূপচর্চায় চিয়া সিড ব্যবহারের নিয়ম
চিয়া সিড শুধুমাত্র শারীরিক উপকার করে না এটি রূপচর্চাতেও প্রাচীনকাল থেকে
ব্যবহার হয়ে আসছে। চিয়া সিড দিয়ে তৈরি মাস্ক ত্বক ব্যবহার করলে মুখের
ময়লা ও মৃত কোষগুলো সতেজ হওয়ার সাথে ত্বকের গর্ত পূরণ হয়। এটি মুখমন্ডলের
ব্যবহারে পাশাপাশি শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করা যাবে। এর ফলে শারীরিক
উজ্জ্বলতা বাড়বে।
চিয়া সিড যেভাবে ব্যবহার করবেন-
চিয়া সিড সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে মধু বা দইয়ের সাথে
ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে মেখে নিন। মুখমন্ডলের পুরোটা জুড়ে ভালোভাবে মিশ্রিণ
লাগান। মুখমন্ডলের দাগ বা স্পট যদি থাকে সেখানে আলতোভাবে মিশ্রিণ লাগান।
অনুরূপভাবে শরীরের অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন।
চিয়া সিড কোথায় পাওয়া যায় ও দাম কত
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
জানার পর কোথায় পাওয়া যায় বা দাম কত জেনে নেওয়া যাক। বাংলাদেশের বিভিন্ন
সুপার শপ গুলোতে চিয়া সিড পাওয়া যায়। সুপার ফুড খ্যাত চিয়া সিড
মুদিখানার দোকানে ও পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বিভিন্ন ফলের দোকানে চিয়া সিড
বিক্রি হয় থাকে।
চিয়া সিডের দাম বর্তমান বাজার মূল্য অনুযায়ী ২০২৫
- ১০০ গ্রাম চিয়া সিডের দাম= ৮০ টাকা থেকে ১১০ টাকা
- ২৫০ গ্রাম চিয়া সিডের দাম= ১৮০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা
- ৫০০ গ্রাম চিয়া সিডের দাম= ৩৫০ টাকা থেকে ৪৭০টাকা
- ১ কেজি চিয়া সিডের দাম= ৭০০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা
চিয়া সিড এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
পুষ্টি গবেষকদের মধ্যে, বেশি পরিমাণের চিয়া সিড খাওয়ার ফলে হজম শক্তির সমস্যা
তৈরি করে। চিয়া সিড বেশ পরিমাণ খেলে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।
বেশিরভাগ গবেষণায়, দেখা গেছে হৃদরোগের ঝুঁকিপূর্ণতা বাড়িয়ে দেয় চিয়া
সিড। চিয়া সিড প্রচুর পরিমাণে খেলে মাথা ব্যথা, পেট ব্যথা আরো অধিক শারীরিক
সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন-
আরো পড়ুনঃ ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য
- এলার্জি জনিত সমস্যা হতে পারে। এলার্জি মনে হলে অবশ্যই খাওয়া কমিয়ে দিন।
-
অনেক সময় গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
-
পেটব্যথা, মাথাব্যথা থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাথা হতে
পারে।
-
বেশি পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা বদহজমের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
-
যে সমস্ত লোক বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত তাদের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া
ভালো।
-
উচ্চ রক্তচাপ থাকলে অবশ্যই অল্প পরিমাণে খাওয়া যায়। ডাক্তারের পরামর্শ
নেওয়া জরুরি।
ওজন কমার ক্ষেত্রে চিয়া সিড অনেকেই বেশি পরিমাণ খেয়ে বিপদ হতে পারে। এটা
শারীরিকভাবে বেশি খেলে অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে যেতে পারে। তাই সকালে খালি
পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম জেনে সঠিক
পরিমাণে সেবনের ফলেই যথাযথ উপকার মিলবে।
উপসংহার
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা- ১০ টি কার্যকরী নিয়ম
নিয়ে চিয়া সিড সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। উক্ত আর্টিকেলটি
নির্ভুলভাবে মানুষের কল্যাণের জন্য যাবতীয় নিয়ম বা তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। নিজের
স্বাস্থ্য সচেতনের জন্য নিয়মিত চিয়া সিড উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন।
সকালে খালি পেটে চিয়া সিড খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা অনেক পরিমাণের পুষ্টি
পাওয়া যায়, অন্যান্য সময় চিয়া সিড খাওয়ার তুলনায়। প্রাথমিক স্বাস্থ্য
গবেষণায় দেখা যায়, চিয়া সিড গ্রহণে স্বাস্থ্য সুবিধা নির্দেশ করে তবে তার সীমিত
আকারে বা নিয়ম জেনে। আজকে আর্টিকেলটি মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ও
জরুরী। পরিমাণ মতো পুষ্টিগণ সমৃদ্ধ চিয়া সিড খাবেন, সুস্থ থাকবেন।
চিয়া সিড এর সাথে স্ট্রবেরি খেতে হবে তাও? পিকচারে দেওয়া আছে তো তাই বললাম।
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
অধিক স্বাদ ও পুষ্টি পেতে অবশ্যই স্ট্রবেরির সাথে চিয়া সিড চেয়ে খেতে পারেন 😘 ধন্যবাদ