বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট অত্যন্ত উপকারী মানব দেহের জন্য ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া খুবই উপকারী। শুধু গর্ভাবস্থায় বিটরুট খেতে হবে এমনটি নয়। সাধারণ মানুষদের জন্য এটি খুবই কার্যকরী একটি সবজি। এই আর্টিকেলটিতে বিটরুটের ২০ টি উপকারিতা আলোচনা করা হয়েছে, যা মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
বিটরুট একটি সবজি, ফল নয়। এটি মূলত সবজি হিসাবে রান্নায় ব্যবহৃত হয়। তবে যথাযথ উপকার পেতে কাঁচা অথবা সালাত হিসাবে খেতে পারেন। কাঁচা-বিটরুটে ৮৮ % পানি, ১০% কার্বোহাইড্রেট, ২% প্রোটিন ও ফ্যাট ১% রয়েছে যা শরীরে বিভিন্ন পুষ্টির ঘাটতি দূর করে।
সূচিপত্রঃ বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
- বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
- বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা
- গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
- বাচ্চাদের বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
- বিটরুটের পুষ্টিগুণ
- বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
- রক্তশূন্যতা দূর করতে বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
- বিটরুট জুস খাওয়ার নিয়ম
- যে সমস্যা থাকলে বিটরুট খাওয়া যাবে না
- বিটরুটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট রক্তের মত লাল। একটা সময় বাংলাদেশে এই সবজিটি খাওয়ার প্রচারণা ছিল
না। সেই সময় কাল থেকে চিকিৎসকরা বিটরুট খাওয়ার পরামর্শ দিতেন।
বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসাবে খাওয়ার পরামর্শ দিতেন চিকিৎসকরা। রক্তশূন্যতা
দূর করার জন্য বেশ কার্যকরী একটি সবজি বিটরুট। বিটরুটে রয়েছে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম সহ অনেক পুষ্টি উপাদান যা
আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
বিটরুট খেতে অনেকে পছন্দ নাও করতে পারেন, তাদের জন্য বিভিন্ন উপায়
স্বাদ বাড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে। এই আর্টিকেলটিতে সম্পূর্ণ বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে, কিভাবে বিটরুট থেকে যথাযথ উপকার পাওয়া যায়। অনেকেই
বিটরুট খাওয়ার ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই আসুন আমরা
সবজিটির সম্পর্কে সম্পূর্ণ জেনে যথাযথ উপকার নেয়। বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা
ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেল বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে।
বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা
বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের সকলেরই জানা। কিন্তু সবচাইতে
কার্যকরী উপকারিতা আমাদের অনেকেরই অজানা। তাই আসুন আমরা জেনে নেই সবচাইতে
কার্যকরী বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা। নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া হল-
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ গবেষণায় জানা গিয়েছে বিটরুটে রয়েছে নাইট্রেটস, যা রক্তনালি প্রচারণ করে ও রক্ত নিয়ন্ত্রণ রাখে এবং রক্তে সরকারের মাত্রা বাড়ায় সাহায্য করে বা নিয়ন্ত্রণ করে।
- হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়ঃ বিটরুটে রয়েছে নাইট্রেটস যার ফলে নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তর হয়। এতে শরীরের রক্তচাপ কমায় ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমায়।
- ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ ১০০ গ্রাম সেদ্ধ বিটরুটে ৪৪ ক্যালোরি, প্রোটিন ১.৭, ফ্যাট ও ফাইবার ২গ্রাম। তাই অধিক পরিমাণে বিটরুট খাওয়ার জন্য অতিরিক্ত ফ্যাট হয় না যার ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকে।
- হজম শক্তি বাড়ায়ঃ বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ শরীরের হজম শক্তি ঠিক থাকলে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। বিটরুটে পরিমাণে ফাইবার থাকার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর হয়।
- প্রবাহ কমায়ঃ মানবদেহে বেশিরভাগ রোগের কারণ প্রবাহ। বিটরুট অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বা প্রবাহরধী গুণে কার্যকরী। নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ বিটরুট, ফলে প্রবাহ থেকে দূরে রাখে বিটরুট।
- লিভার সুরক্ষা রাখেঃ বিটরুট রস নিয়মিত সেবন করলে লিভারের কিছু ডিট্ৰেসিফাইং এনজাইমের উপাদান বৃদ্ধি পায়। এতে করে লিভার সুরক্ষা রাখে।
-
হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ নাইট ট্রেন থেকে উৎপন্ন নাইট্রিক অক্সাইড
রক্তচাপ কমায়। এতে হৃৎপিণ্ড সুস্থ থাকে এবং হার্ট ভালো থাকে।
- ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখেঃ বিটরুট ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, যা তোকে তরুণ্য রাখে। বিটরুটে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকার ফলে ত্বক সুস্থ রাখে।
- ক্লান্তি দূর করেঃ বিটরুটে যথেষ্ট পরিমাণ খনিজ সমৃদ্ধ, যা শরীরে ক্লান্তি ও দুর্বলতা দূর করে।
- মস্তিষ্ক সুস্থ রাখেঃ বিটরুট মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বাড়ায়, যার ফলে স্মৃতিশক্তি বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সাথে মস্তিষ্কের দুর্বলতা থেকে মুক্তি দেয় বিটরুট ।
- উন্নত মস্তিষ্কের কার্যকারিতাঃ বয়স্কদের নিয়মিত বিটরুট খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ঠিক থাকে। উচ্চ নাইট্রেট খাদ্য প্রায়ই প্রভাবিত মস্তিষ্কের অঞ্চলে অক্সিজেন বাড়াতে পারে।
- ক্যান্সার প্রতিরোধ করেঃ বিটরুটে বিটানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে পারে।
- অন্ত্র সুস্থ ওর সাথে রাখেঃ বিটরুট শরীরে থাকা বিষাক্ত পদার্থ নিমিষে শেষ করার ক্ষমতা রাখে। বিটরুট খেলে সারাদিন শরীরের শক্তি স্থিতিশীল থাকে।
- শক্তি বাড়ায়ঃ বিটরুটে ঢাকা নাইট্রেট শরীরের কষে শক্তি উৎপাদক মাইট্রোকনড্রিয়া কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। এতে করে শরীরে প্রচুর পরিমাণে শক্তি বাড়ায়।
- কর্মক্ষমতা বাড়ায়ঃ বিটরুট প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন থাকার ফলে শরীরে কর্ম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
- এসিডিটি কমাতে সাহায্য করেঃ বিটরুটে ফাইবার থাকার কারণে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে হজম স্বাস্থ্য কে ভালো রাখে যার ফলে এসিডিটি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- গর্ভাবস্থায় বিটরুটঃ গর্ভবতী মহিলা নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি দূর হয়।
- মাসিকের সমস্যা দূর করেঃ বিটরুটে থাকা আয়রন নতুন লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে যা অনিয়মিত মাসিকের সমস্যা দূর করে।
-
চোখের সমস্যা দূর করেঃ বিটরুটে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
যা লুটেইন নামে পরিচিত। লুটেইন বয়স সম্পর্কিত চোখের রোগের
ঝুঁকি কমায়।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। তবে কোন কোন গর্ববতী মহিলার ক্ষেত্রে
নিয়ম না জেনে খর ফলে ঝুঁকি এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। বিটরুটে
পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, ফলে গর্ভাবস্থায় খাওয়ার জন্য এসব জিদ চাহিদা অনেক বেশি।
চলুন দেখে নেওয়া যাক গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা, নিয়ম ও
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
গর্ভাবস্থায় বিদ্যুৎ খাওয়ার উপকারিতা
- রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে।
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
- শরীরের ওজন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা রাখে।
- নিউরাল টিউবের ত্রুটি প্রতিরোধ করে।
- আয়োডিনের ঘাটতি কমায়।
- শর্করার সমস্যা দূর হয়।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার অপকারিতা বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
- বিটরুট খাওয়াই সাধারণভাবে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় না। বিটরুট শরীরের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। বিটরুট খাওয়ার ফলে একজন গর্ভবতী মহিলা এবং তার ক্রমবর্ধমান সন্তানের জন্য খুবই ভালো। বিটরুট তরকারি, সালাত বা জুস করেও খাওয়া যায় গর্ভাবস্থায়।
বাচ্চাদের বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট পুষ্টিতে ভরপুর একটি সবজি। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ছয় মাস বয়স না হওয়া
পর্যন্ত বিটরুট খেতে নিষেধ করে থাকেন চিকিৎসকরা। বাচ্চাদের ০৬ মাস
বয়স থেকে অল্প পরিমাণে বিটরুটের পিউরি বা রস খাওয়া যেতে
পারে। তবে ০৬ মাস থেকে ০১ বছর বয়স পর্যন্ত সর্বোচ্চ ০২ চামচ পরিমাণ
খাওয়া যেতে পারে। ০১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরে কাঁচা,
সালাদ, সবজি, জুস করে খাওয়াতে পারবেন।
বাচ্চাদের নিয়মিত পরিমাণ মতো বিটরুট খাওয়া যেতে পারে, এতে করে কোন সমস্যা
হবে না। বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত ভূমিকা
রাখে। ফলে আপনার শিশুকে নিয়মিত বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং
নিজেও বিটরুট খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
বিটরুটের পুষ্টিগুণ
বিটরুট নামের গোলাপ বা লালচে রঙের একটি সবজি। সাধারণত শীতকালে এই
সবজি উৎপাদন হয়। বাংলাদেশে অন্যান্য সময় পাওয়া গেলেও এটি একটি শীতকালীন সবজি।
বিভিন্ন পুষ্টিগুণ ও ঔষধি গুণ সম্পূর্ণ একটি সবজি বিটরুট। বিটরুটে প্রচুর
পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা মানব দেহের বিভিন্ন পুষ্টি ঘাটতে দূর করে। আসুন
আমরা জেনে নেই বিটরুটে কি পরিমান পুষ্টিগুণ থাকে।
- পানির পরিমাণ=৮৮%
- কার্বোহাইড্রেট=২%
- প্রোটিন=২%
- ফ্যাট=১%
প্রতি প্রতি ১০০ গ্রাম বিটরুটের পুষ্টির মান
- শক্তি= ৪৩ কিলোক্যালরি
- কার্বোহাইড্রেট= ৯.৫৬ গ্রাম
- চিনি=৬.৭৬ গ্রাম
- ফাইবার = ২.৮ গ্রাম
- ফ্যাট= ০.১৭ গ্রাম
- প্রোটিন= ১.৬১ গ্রাম
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট বিভিন্ন ভাবে খাওয়া যায় তবে অধিক পরিমাণ পুষ্টি থাকে কাঁচা
বিটরুটে। কাঁচা বিটরুট অধিক স্বাদ পেতে সালাতে কুচি কুচি করে মিশিয়ে খাওয়া
যেতে পারে। অন্যান্য সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খেলে অধিক পাওয়া
যায়। কাঁচা বিটরুট সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন সবজির সাথে
মিশিয়ে কটলেট তৈরি করা যেতে পারে। এর ফলে অধিক পরিমাণে পুষ্টি পাওয়া যায়।
বিটরুটের জুস বানিয়ে খাওয়া যায় বিভিন্ন হবে। কাঁচা বিটরুট ব্লেন্ড
করে জুস তৈরি করা যায়। বিভিন্ন ফলের সাথে মিশিয়ে জুস তৈরি করে খেলে অধিক
পরিমাণে স্বাদ পাওয়া যায়।
বিটরুটের পাউডার সংগ্রহ করে সারা বছর জুড়ে জুস খাওয়া যায়। বিটরুটের পাউডার
বাংলাদেশের বিভিন্ন সুপার শপ ও ফলের দোকানে পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা দূর করতে বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
রক্তস্বল্পতা এমন একটি রং যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভুক্তভোগী।
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে, যা হিমোগ্লোবিন উৎপাদনের জন্য বেশ
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এতে ফোলেট ও রয়েছে যা লোহিত রক্তকণিকা বৃদ্ধিতে
সাহায্য করে। ফোলেটর ঘাটতি রক্তস্বল্পতার অন্যতম কারণ। বিটরুট নিয়মিত খাওয়ার
ফলে, এসব সমস্যা থেকে পরিত্রান পাওয়া যায়।
রক্তশূন্যতা দূর করতে অবশ্যই কাঁচা বিটরুট খাওয়া অত্যন্ত কার্যকরী। কাঁচা
বিটরুট জুস করে, নিয়মিত খাওয়ার ফলে রক্তশূন্যতা দূর হয়।
কাঁচা বিটরুটের সালাদ খাওয়া যায় নিয়মিত। ভাতের সাথে মিশিয়েও এই সালাদ খাওয়া
যায়।
রান্না করে বিটরুট খাওয়া যায়। যেমন-সুপ বা সিদ্ধ করে খাওয়া যায় অথবা
সবজির সাথে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
বিটরুট জুস খাওয়ার নিয়ম
বিটরুট জুস সাধারণত প্রতিদিনই খাওয়া যায়। বিটরুট জুস সকালে খালি পেটে পান করা অনেক ভালো। একজন প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫০-৩০০ মিলি জুস পান করা উচিত। আসুন দেখে নেই জুস তৈরি করার পদ্ধতি।
- প্রথমে একটি তাজা বিটরুট সংগ্রহ করতে হবে।
- এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
- ছোট ছোট টুকরো করে বিটরুট কাটুন।
- অল্প পরিমাণে পানি দিয়ে, বিটরুট ব্লেন্ড করুন।
- জুসটি ছেকে নিন।
- অধিক স্বাদ পাওয়ার জন্য, লেবুর রস বা মধু মিক্সড করতে পারেন।
- অন্যান্য ফলের সাথেও বিটরুট মিশ্রিত জুস বানাতে পারেন। যেমন-আপেল, কমলালেবু, গাজর ইত্যাদি।
যে সমস্যা থাকলে বিটরুট খাওয়া যাবে না
বিটরুট অনেক উপকারী একটি সবজি। কিন্তু এটি সবার জন্য না। বিশেষ করে যাদের, খাওয়ার পূর্বে বিভিন্ন রোগ থাকে তাদের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া উচিত নয়। আসুন আমরা জেনে নেই কাদের জন্য বিটরুট খাওয়া নিষেধ।
- কিডনি সমস্যা থাকলে বিটরুট খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
- বিটরুট খাওয়ার পরবর্তীতে পেটে গ্যাস অথবা বমি বমি অনুভব করলে, বিটরুট খাওয়া বন্ধ করুন।
- বিটরুট খাওয়ার পর এলার্জি অনুভব করলে, বিটরুট খাওয়া বন্ধ করুন।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাদের বিটরুট খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে বিটরুট খাওয়ার পরামর্শ রইলো। এতে করে আপনাকে শারীরিক সমস্যায় করতে হবে না।
বিটরুটের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা অপকারিতা
বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি তবে এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। সাধারণত বিটরুটে তেমন কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকেনা। তবে অতিরিক্ত বিটরুট খাওয়ার ফলে কিছুটা সমস্যা অনুভব করতে পারেন। আসুন দেখে নেওয়া যাক কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
- অতিরিক্ত বিটরুট রক্তচাপ খুব কমিয়ে দিতে পারে।
- কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু কি বাড়াতে পারে।
- শরীরে বিভিন্ন প্রকার এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে।
- পাকিস্থলিতে সমস্যা হতে পারে।
বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে বিটরুট নিয়মিত খেলে মানবদেহের যথাযথ উপকার পাওয়া যাবে।
উপসংহারঃ বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
বিটরুট অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি, যা মানব দেহের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিটরুট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হৃদযন্ত্রের সুরক্ষা ও মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তবে স্বাস্থ্যকর খাদ্য সবার জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ কিংবা কার্যকর নাও হতে পারে। এমনকি তা কারো কারো জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। তবে বিটরুট ক্ষতিকর দিকটি খুবই কম।
বিটরুটে রয়েছে ভিটামিন, আয়রন বা ফলিক এসিডের উৎস। যার ফলে, অতিরিক্ত বিটরুট জুস পান করা শরীরের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকার হতে পারে। বিটরুট খাওয়ার ২০ টি উপকারিতা ও গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পূর্ণ পড়ার অনুরোধ রইল। কেন না এখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে বিটরুট সম্পর্কে ও কিভাবে যথাযথ উপকার পাওয়া যায় এ সম্পর্কে। ধন্যবাদ
ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url