উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন বিস্তারিত জানুন। উলট
কম্বলের ডাটার অনেক অপকারিতা রয়েছে সাথে এর ঔষধি গুনাগুন জানলে আপনি চমকে
যাবেন। উলট কম্বলের জানা-অজানা বিভিন্ন রকম তথ্য নিয়ে আজকের এই আর্টিকেলটি
সাজানো হয়েছে।
উলট কম্বলের ডাটা মানব দেহের জন্য অনেক উপকারী তবে ব্যবহারে সঠিক নিয়ম না
জানলে উলট কম্বল ডাটার অনেক অপকারিতা রয়েছে। তাই আসুন জেনে নেওয়া যাক
উলট কম্বলের উপকারিতা ও অপকারিতার সম্পর্কে বিস্তারিত।
সূচিপত্রঃ ওলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
- উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
- উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা
- উলট কম্বল ডাটার বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
- উলট কম্বল ডাটা খাওয়ার উপকারিতা
- ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা
- ওলট কম্বল গাছের শিকড়ের উপকারিতা
- ওলট কম্বল গাছের পাতার উপকারিতা
- ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
- ওলট কম্বল খেলে কি হয়
- ওলট কম্বল গাছের অপকারিতা ও ভয়াবহতা
উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
উলট কম্বল ব্যবহার হয়ে আসছে বহু রোগের চিকিৎসায়। ওলট কম্বল গাছের
বৈজ্ঞানিক নাম "Abroma augustum" বিভিন্ন জায়গায় ডেভিল'স কটন নামে
পরিচিত। উলট কম্বল আমাদের অতি পরিচিত একটি ভেষজ ওষুধ। এই গাছে রয়েছে
বিশাল সৌন্দর্যের আকর্ষণীয় সুন্দর ফুল। উলট কম্বল গাছের পাতা বিশাল হয় আর
ব্যতিক্রম সীড করে যা ফুলের ফুলের মত সুন্দর। বাংলাদেশের বিভিন্ন জঙ্গল ও
গ্রামঅঞ্চলে এই গাছটি প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এই গাছটি লম্বাও বেশ বড় হয়,
সাধারণত ৮ থেকে ১০ ফুট লম্বা হয়।
উলট কম্বল ডাটার অপকারিতা রয়েছে অনেক যদি আপনি নিয়ম না জেনে
ব্যবহার করেন। তবে নিয়ম জেনে যদি আপনি এই গাছটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে
হাজারো রোগ নিরাময় করা সম্ভব উলট কম্বল গাছ থেকে। উলট কম্বল একটি ভেষজ উদ্ভিদ
যা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে অনেক ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। তাই আসুন জেনে
নেই উলট কম্বল উদ্ভিদের ভেষজ ঔষধি গুণাবলী ও উপকারিতা এবং বিভিন্ন
অপকারিতার সম্পর্কে। নিম্ন বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা
উলট কম্বল একটি ভেষজ উদ্ভিদ, যা মানব দেহের বিভিন্ন ঔষধি কাজে ব্যবহার হয়ে
থাকে। তবে উলট কম্বল ডাটার বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। বিশেষ করে যাদের,
আগে থেকে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে উলট কম্বল ব্যবহার
ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। আসুন উলট কম্বল ডাটার অপকারিতা গুলো জেনে নেয়।
-
বিষক্রিয়াঃ ওলট কম্বলের পাতা, ছাল ও মূল খেলে শরীরে বিষক্রিয়া হতে
পারে। যেমন-বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া ও পেটের সমস্যা হতে পারে।
- হরমোনের সমস্যাঃ উলট কম্বলে থাকা স্টেরয়েডাল হরমোন এক স্বাভাবিক কার্য ক্ষমতা বিঘ্নিত করতে পারে।
- মাসিক চক্রঃ এই উদ্ভিদটিতে মহিলাদের মাসিক চক্রের বিঘ্নিত করে।
- কিডনি সমস্যাঃ উলট কম্বল ডাটাই কিডনি সমস্যা হতে পারে।
- অ্যালার্জি সমস্যাঃ মানুষের শরীরের, ত্বকে চুলকানি ও লালচে ভাব হতে পারে।
- এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাঃ উলট কম্বল গাছের রস অধিক পরিমাণে খেলে, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- গর্ভাবস্থায় ঝুঁকিঃ গর্ভাবস্থায় উলট কম্বল গাছ থেকে একেবারেই বিরত থাকুন। কারণ জরায়ুর সংকোচন সৃষ্টি করে।
- রক্তচাপ বাড়তে পারেঃ উলট কম্বল উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করতে পারে।
- প্রবাহঃ প্রবাহ জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
- হাঁপানি ও শ্বাসকষ্টঃ হাঁপানি ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীদের উলট কম্বল না ব্যবহার করাই ভালো এতে শ্বাসকষ্ট বাড়িয়ে দিতে পারে।
উলট কম্বল গাছের যথাযথ উপকার পেতে অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে বা
ব্যবহার করতে হবে।
উলট কম্বল ডাটার বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
বিভিন্ন ঔষধি গুণাগুনে ভরপুর ওলট কম্বল গাছের উপকারিতার কোন শেষ নেই। উলট কম্বল
ডাটার উপকারিতা রয়েছে অধিক পরিমাণে। পুরুষদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রোগের ওষুধ
হিসাবে ব্যবহার হয় উলট কম্বলের গাছ। তবে স্ত্রীর রোগ নিরময়ের জন্য অনন্য
অবদান রাখে এই উদ্ভিদটি। উলট কম্বল গাছকে প্রাকৃতিক গাইনি ডাক্তার হিসাবে
আখ্যায়িত করা হয়। মূলত এই উদ্ভিদের ব্যবহার হয়ে আসছে প্রাচীনকাল থেকেই। আসুন
আমরা জেনে নেই বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে।
- বন্ধ্যাত্ব রোগ নিরাময়েরঃ বন্ধ্যাত্ব রোগীদের রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে উলট কম্বল এর কার্যকারিতা অনেক। উলট কম্বল গাছের ছালের রস জরায়ুর শক্তি বৃদ্ধি করে।
-
মাসিক জনিত সমস্যাঃ নিয়ম অনুযায়ী সেবন করলে, অনিয়মিত ঋতুস্রাব ঠিক
হয়। তবে মাত্রা অতিরিক্ত বেশি খেলে, এর বিপরীত হতে পারে।
- বাত ব্যথা দূর করেঃ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উলট কম্বল গাছের রস খেলে বাত ব্যথার সাথে শরীরের অন্যান্য ব্যথা দূর হয়।
- ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত উলট কম্বল গাছের রস খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় ও ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- চর্মরোগ দূর হয়ঃ উলট কম্বলের পাতা চর্মরোগ দূর করতে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
- গনোরিয়াঃ উলট কম্বল গাছ বিভিন্নভাবে গনোরিয়া চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
- পাইলসের সমস্যা দূর হয়ঃ কোষ্ঠকাঠিন্য সহ বিভিন্ন রকমের সমস্যা দূর হয়।
উলট কম্বল ডাটা খাওয়ার উপকারিতা
উলট কম্বল ডাটা নিয়মিত ব্যবহারের ফলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য
করে। ওলট কম্বল গাছের পাতা, ডাল, মূল, বাকল বিভিন্ন ভাবে মানুষের শরীরের
জন্য উপকার করে। আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যেমন-ত্বকের অ্যালার্জি, শরীর
দুর্বলতা, দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও শরীরের বিভিন্ন উপকার করে
থাকে এই উদ্ভিদ। আসুন আমরা জেনে নেই উপকারিতা সম্পর্কে-
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করেঃ সুস্থ মানুষ প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ওলট কম্বল গাছের রস পান করলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
- বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়ঃ বাত ব্যথা থেকে শুরু করে, শরীরের দীর্ঘদিনের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে উলট কম্বলের গাছ।
- বয়সের ছাপ দূর করেঃ নিয়মিত উলট কম্বল গাছের রস সেবন করলে, ত্বকের উজ্জ্বল বাড়ায় ও চেহারাই বয়সের ছাপ দূর করে।
- জ্বর দূর করেঃ অনেকেই আছেন দীর্ঘদিন জ্বরের সমস্যায় পড়তে থাকেন। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে উলট কম্বল রস পান করলে জ্বর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- পেটের সমস্যা দূর করেঃ গ্যাস্ট্রিক, কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজম ইত্যাদি। নিয়মিত উলট কম্বল গাছের রস পান করলে দূর হয়।
- পুরুষের শুক্রাণু বৃদ্ধি করেঃ নিয়মিত সকালে খালি পেটে উলট কম্বল গাছের রস পান করলে শুক্রানু বৃদ্ধি হয়।
- হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়ঃ প্রতিদিন সকালে, খালি পেটে উলট কম্বল গাছের রস পান করলে হজম শক্তি বাড়ার ফলে ক্ষুধা বৃদ্ধি পায়।
ওলট কম্বল গাছের বীজের উপকারিতা
উলট কম্বল গাছের বীজের অনেক উপকারিতা রয়েছে। উলট কম্বল গাছের বীজ বিভিন্ন রকম
রোগের ভেষজ ওষুধ হিসাবে ব্যবহার হয়। আসুন আমরা জেনে নেই কি কি রোগে উলট
কম্বলের বীজ ব্যবহার হয়। বর্তমানে অনেকেই বাণিজ্যিক আকারে বীজ
থেকে বংশবিস্তার করছে। বীজ সংগ্রহ করার পরবর্তীতে ১-২ মাস পরে বীজ বপন করা
হয়। বীজ বপণের পূর্বে অন্তত দুই ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। তারপর বাতাসের
শুকোতে হয়, শুকনোর পরে জমিতে বপন করা যায়।
ওলট কম্বলের বীজ গনোরিয়ার রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। এবং
মহিলা মহিলা রোগের বিভিন্ন চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সাধারণত শুধু
ওলট কম্বলের বীজ থেকে ওষুধ উৎপাদন করা হয় না সাথে অন্যান্য উপাদান
থাকে। উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন আর্টিকেলটিতে
ইতিমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে উপকারিতা সম্পর্কে।
ওলট কম্বল গাছের শিকড়ের উপকারিতা
উলট কম্বল গাছের শিকড়ের ঝাল বিভিন্ন ওষুধের চিকিৎসায় ব্যবহৃত
হয়। ওলট কম্বলের গাছের শিকড় আমাদের শরীরে ওষুধ হিসাবে বিভিন্ন কাজে লাগে।
ইউনানি ও কবিরাজ বিশেষজ্ঞরা উদ্ভিদ ভালো ভাবে ব্যবহার করে থাকেন। মূলত ওলট
কম্বলে ইচ্ছে করে বিভিন্ন ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।
এই ওষুধ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-মহিলা রোগের মধ্যে
রয়েছে,গর্ভসাইয়ের শক্তি বৃদ্ধি, জরায়ুর বিভিন্ন সমস্যায় ব্যবহৃত হয় ও
অনিয়মিত মাসিক নিয়মিত করতে এইসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়। তবে এটি বিশেষজ্ঞ
পরামর্শ ছাড়া না ব্যবহার করাই ভালো। মানুষ মানুষের ক্ষেত্রে যৌন বৃদ্ধিতে বেশ
ভালো ভূমিকা রাখে ওলট কম্বল গাছের শিকড়
ওলট কম্বল গাছের পাতার উপকারিতা
মূলত উলট কম্বলের পাতা বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আমাশয় রোগের
জন্য বেশ উপকারী ওলট কম্বলের পাতা। তাছাড়া অনিয়মিত বা অধিক নিয়ন্ত্রণে
জরায়ুর স্থানচ্যুতিতে ব্যবহৃত হয়। মহিলা জনিত রোগের বেশ উপকারী ওলট
কম্বলের পাতা। তাই আসুন আমরা নিয়ম জেনে ওলট কম্বলের গাছের পাতা ও বিভিন্ন
ছাল ডাটা থেকে উপকার নেয়।
ওলট কম্বলের গাছের পাতার পেস্ট তৈরি করে ব্যবহার করা হয়। প্রাচীনকাল থেকে
ব্যবহৃত এই ভেষজ ঔষধি সম্পূর্ণ উদ্ভিদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে।
আশা করি এর যথাযথ উপকারিতা পেতে অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়বেন। ওলট কম্বলের গাছ
বাংলাদেশের যেখানে সেখানেই দেখা যায়।
ওলট কম্বল খাওয়ার নিয়ম
উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন আলোচনা করা হয়েছে।
কিন্তু এর থেকে যথাযথ উপকার পেতে অবশ্যই আপনাকে নিয়ম জানতে হবে। আসুন আমরা জেনে
নেই কিভাবে যথাযথ উপকার পাওয়া যায় কোন নিয়মে?
- ডালের শরবত খাওয়ার নিয়মঃ রাতে ছোট্ট ৩-৪ টি ডাল ভালোভাবে পরিষ্কার করে, পানিতে ভিজিয়ে রাখুন অন্তত ০৮ ঘন্টা। এবং সকালে ঘুম থেকে উঠে পান করুন। স্বাদ পেতে অল্প পরিমাণে চিনি ব্যবহার করতে পারেন বা অন্যান্য ফলের রস।
-
শিকড় খাওয়ার নিয়মঃ ৫-১০ গ্রাম শুকনো শিকড় পানিতে সিদ্ধ করুন এক কাপ
পানিতে দিয়ে। এরপর সিদ্ধ পানি ঠান্ডা করে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন অথবা
রাতে।
-
গাছের পাতা খাওয়ার নিয়মঃ ওলট কম্বলের গাছের বড় পাতার পেস্ট তৈরি করা
হয়। এই পেস্ট ত্বকে ব্যবহার করলে উজ্জ্বলতা বাড়ে। সপ্তাহে
অন্তত একবার মুখে ১০-২০ লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- উলট কম্বল গাছের বীজের গুড়া তৈরি করার নিয়মঃ প্রথমেই গাছের বীজ সংগ্রহ করে, গুঁড়ো করে নিতে হবে। চা চামচ পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে ১০ মিনিট রাখার পরে ধুয়ে ফেললে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
- ওলট কম্বল গাছের ডাল ব্যবহারের নিয়মঃ ওলট কম্বল গাছের ডাল থেকে রস ব্যবহার করে, মুখে লাগাতে পারেন।
ওলট কম্বল খেলে কি হয়
উলট কম্বল গাছ একটি ভেষজ ঔষধি যা খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া
যায়। ওলট কম্বলের ছাল থেকে এক ধরনের আঠাজাতীয় রস বের করা হয়,
যা গর্ভাশয়ের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং মহিলা রোগের বিভিন্ন ওষুধ তৈরি করা হয়।
একটি খেলে শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
প্লট কম্বলের গাছ পুরুষদের শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করে। এবং ডায়াবেটিস
রোগীদের রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক হয়। আরো অনেক কিছু
উপকারিতা পাওয়া যায় ইতিমধ্যেই আলোচনা করা হয়েছে। উলট কম্বলের ডাটার
অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত ভাবে।
ওলট কম্বল গাছের অপকারিতা ও ভয়াবহতা
উলট কম্বলে উপকারিতা আমরা ইতিমধ্যেই জেনেছি তবে এর কিছু ভয়াবহতা আছে। চলুন
আমরা জেনে নেয়।
ওলট কম্বলের গাছের পাতা এবং ডাল পালা শরীরের সাথে সংস্পর্শ করলে জ্বালাপোড়া হতে
পারে। তাই এটি সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। এই উদ্ভিদ কাজটি
সচরাচর বাংলাদেশে যে কোন স্থানে দেখা যায়। তবে এটি সংগ্রহ করার সময় অবশ্যই ত্বকে
যাতে কোনভাবেই স্পর্শ না করে।
উলট কম্বল গাছের ডাটা, ডাল, পাতা ইত্যাদি মানুষের জন্য অনেক উপকারী। তবে
অবশ্যই আপনাকে পরিমাণ মতো খেতে হবে। অধিক পরিমাণ খেলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা
দিতে পারে। কিছু ব্যক্তির মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে ওলট কম্বল ব্যবহারের ফলে
অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি বা শ্বাসকষ্টের মত সমস্যা হয়েছে।
উপসংহারঃ উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন
এই আর্টিকেলটিতে ওলট কম্বল গাছ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে। উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন ইত্যাদি
বিষয় বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। ওলটকম্বল গাছ আমাদের শরীরের জন্য খুবই
উপকারী উপাদান।এর কিছু অপকারিতা রয়েছে তবে নিয়ম জেনে আপনি সেবন করলে অবশ্যই
যথাযথ উপকার পাবেন।
উলট কম্বলের ডাটার অপকারিতা ও বিভিন্ন ঔষধি গুনাগুন আর্টিকেলটিতে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে আপনি কিভাবে এর থেকে যথাযথ উপকার পাবেন। আশা করি সম্পূর্ণ
আর্টিকেলটি করে যথাযথ উপকার নিবেন এবং অপকারিতা থেকে দূরে থাকবে। ধন্যবাদ
ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url