দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন কুরআন ও হাদিসের আলোকে ।আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজনে এবং শুকরিয়া আদায় করার জন্য দোয়া করে থাকি কিন্তু অনেক সময় মনে হতে পারে দোয়া কবুল হয়। দোয়া কবুল হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু আমল ও শর্ত রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কোন মানুষের দোয়া বা চাওয়া ফেরত দেন না।

দ্রুত-দোয়া-কবুল-হওয়ার-আমল-ও-দোয়া-কবুল-না-হওয়ার-কারণ-জানুন

মানুষের সমস্ত হতাশা এবং চিন্তার প্রধান সমাধান হল প্রার্থনা। আর এই দোয়া কবুলের জন্য রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিভিন্ন পথ নির্দেশনা দিয়েছেন। সে সমস্ত বিষয় নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু সময় রয়েছে যে সময় গুলোতে দোয়া করলে আল্লাহ তা'আলা দ্রুত প্রতিদান দেন। আসুন আমরা কুরআন এবং হাদিসের আলোকে দোয়া কবুল হওয়ার কারণগুলো জেনে নেয়।

সূচিপত্রঃ দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন

আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা প্রয়োজনে এবং শুকরিয়া আদায় করার জন্য দোয়া করে থাকি।কিন্তু অনেক সময় আমাদের সেই দোয়া কবুল হয় না, বাস্তব জীবন যারা এটাই আমরা উপলব্ধি করি। বিভিন্ন কারণে দোয়া কবুল না হতে পারে তবে চলুন জেনে নেই কিভাবে আমাদের প্রার্থনা কবুল হয়। সর্বপ্রথম হবে সেটা হচ্ছে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কে খুশি করার জন্য তার শুকরিয়া আদায় করার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ সালাত আদায় করতে হবে, তবে এমনটা নয় যে তিনি পাপী বান্দাদের রিজিক দেবেন না বা দোয়া কবুল করবেনই না।এরপর অবশ্যই আপনাকে বিনয়ী হতে হবে । 

কেননা আল্লাহ সুবহানাতালা বলেছেন, "তোমরা তোমার প্রতিপালককে ডাকো বিনীতভাবে ও গোপনে নিশ্চয়ই তাকে সীমা লংঘনকে ভালবাসতে না।" (সূরা-আরাফ, ৫৫)

এরপর আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে, হালাল ইনকাম করছেন কিনা। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেছেন যে দেহ হারাম দ্বারা গঠিত, জাহান্নামই তার জন্য উপযুক্ত।(সহীহ তাবারানি :৮৬১২)"

সর্বশেষ যেই পথটি অবলম্বন করতে হবে দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার জন্য সেটা হল দুরুদ শরীফ পাঠ করা বিশেষ করে দোয়া করার পূর্বে। যেমন "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম"। 

আরও পড়ুনঃ ঈমান ও আকিদার মধ্যে পার্থক্য কি? জানুন 

চলুন জেনে নেয়, এক কথায় কি করলে প্রার্থনা কবুল হবে না।

  • প্রথমত হারাম রিজিক গ্রহণ করলে কবুল হবে না।
  • দ্বিতীয়ত জেনার সাথে সম্পৃক্ত থাকা ব্যক্তির দোয়া কবুল হবে না।
  • দোয়া করার পূর্বে দুরুদ শরীফ না পাঠ করলে দোয়া কবুল হয় না। 
  • দোয়া কবুল না একটা বড় কারণ হতে পারে সত্য কথা না বলা।
  • দ্রুত দোয়া করলে আল্লাহ সুবহানাতায়ালা রাগান্বিত হন।

"দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন" আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ করে দোয়া কবুল হওয়ার শর্ত সমূহ গুলো জেনে নিন।

দোয়া কবুলের সময়

দোয়া কবুলের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সময় আমরা হাদিসের আলোকে জানতে পেরেছি। এই সময়গুলোতে দোয়া করলে ধনুকের তীর মিস হতে পারে কিন্তু আল্লাহ সুবহানাতায়ালা কখনো তার বান্দাদের ফিরিয়ে দেন না। তাই প্রত্যেকেরই উচিত এই বরকতময় সুন্দর মুহূর্ত গুলোতে আমাদের চাওয়া পাওয়া গুলো আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এর কাছে চেয়ে নেওয়া। চলুন জেনে নেই কোন সেই বরকতময় সময়গুলো।

  • ফজরের নামাজের পূর্বে শেষ রাতে বিশ্বাসের সাথে দোয়া করলে কখনো আল্লাহ তাআলা ফিরিয়ে দেননা।
  • ফরজ সালাতের পর দোয়া করলে খুব দ্রুত কবুল হয়।
  • আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কাল হলো বরকতময়। এই সময় দোয়া করলে আল্লাহ তাআলা আমাদের মনের আশা পূরণ করেন।
  • শুক্রবার আসর সালতের পর সূর্য অস্তের পূর্ববর্তী সময়ের মধ্যে একটি বরকতময় রয়েছে এই সময় প্রার্থনা কবুল হয়।
  • সফরে থাকলে দোয়া কবুল হয়।

দোয়া কবুলের প্রধান অস্ত্র তাহাজ্জুদ- কিভাবে পড়বেন ?

দোয়া কবুলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অকল্পনীয় মাধ্যম ভালো হচ্ছে  তাহাজ্জুদ। এর গুরুত্ব ও ফজিলত বর্ণনা করে শেষ করা সম্ভব নয়। আমাদের জীবনে আমাদের সন্তান-সন্ততি ক্যারিয়ার এবং আরো অনেক কিছু নিয়ে চিন্তায় মগ্ন থাকি, এসব সবকিছুর সমাধান হচ্ছে তাহাজ্জুদের সালাত। পৃথিবীর সমস্ত মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে রাতের শেষ তৃতীয়াংশে, দুনিয়ার কিছু বান্দা এই তাহাজ্জুদ সালাতের জন্য ঘুম থেকে উঠে নিজের কষ্ট গুলোকে আল্লাহর কাছে বলার জন্য। 

আল্লাহ তাআলা কুরআন মাজিদের বলেছেন, তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে পৃথক থাকে। তারা তাদের প্রতিপালককে ভয় ও আশা সহকারে আহ্বান করে, আর আমি তাদের যা রিজিক দিয়েছি তা থেকে তারা ব্যয় করে। (সূরা আস সাজদাহ,সূরা-৩২, আয়াত-১৬-১৭)

চলুন জেনে নিই কিভাবে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতে হয়। তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করার জন্য আলাদা কোন নিয়ম শেখার দরকার নেই। এই নামাজ দুই রাকাত করে সর্বোচ্চ যত রাকাত পারবেন পড়তে হয়।তবে এই নামাজের গুরুত্বের মধ্যে বলতে গেলে নামাজের দীর্ঘতা এবং মনোযোগ দিয়ে বোঝাই। 

  • ওযু করুন।
  • কেবলামুখী দাঁড়ান।
  • ঠিক যেভাবে সালাত দুই রাকাত  সালাত আদায় করেন সেইভাবে শুরু করুন।
  • তাহাজ্জুদের সালাতের আলাদা করে কোন নিয়ত নেই। আপনি মনে মনে নিয়ত করুন ।
দ্রুত-দোয়া-কবুল-হওয়ার-আমল-ও-দোয়া-কবুল-না-হওয়ার-কারণ-জানুন

ফরজ নামাজের পর দোয়া কবুল হয় কিভাবে ? জানুন

দোয়া কবুল সংখ্যা অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো মধ্যে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময় ফরজ সালাতের পর দোয়া করা। হাদিসের আলোকে আমরা জানতে পারি, ইবনু যুবায়ির (রা) বলেন,  তিনি প্রত্যেক সালাতের পর কিছু নির্দিষ্ট দোয়া পড়তেন এবং তিনি বলেন-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি  ওয়াসাল্লাম ও এই দোয়াগুলো পড়তেন।(সহীহ মুসলিম ৫৯৬ এই হাদীসে দোয়াগুলো রয়েছে ) 

মুয়াজ ইবনু জাবাল রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে বলেনঃ-

"হে মুয়াজ, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমি তোমাকে উপদেশ দিচ্ছি প্রতিটি নামাজের পর এই দোয়াগুলো পড়া কখনোই বাদ দেবে না। "হে আল্লাহ তোমার জিকির শুকরিয়া আদায় এবং উত্তম ভাবে তোমার ইবাদত করার তৌফিক দাও। "(আবু দাউদ ১৩১৪) "

আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া কবুল হয়

দোয়া কবুলের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হচ্ছে আজান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কাল। আমরা অনেকেই আরো অন্যান্য সময় গুলো জেনে থাকলেও এই সময়টি সম্পর্কে আমরা খুব বেশি অবগত নই। কিন্তু ছোট্ট এই সময়টিতে আন্তরিকতার সাথে দোয়া করলে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা ফিরিয়ে দেন না। কেননা আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,"আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে করা দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান করা হয় না। "(তিরমিজি ৩৫৯৪,  সহিহ)

এরপর যখন সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন, "হে আল্লাহর রাসূল ﷺ এই সময় আমরা কি দোয়া করব?"

তিনি বললেন, " তোমরা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য আল্লাহর নিকট আফিয়াত( নিরাপত্তার শান্তি ও সুস্থতা) প্রার্থনা করো। "

এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দমত আপনার চাওয়া গুলো আল্লাহ সুবহানাতায়ালা এর কাছে বলতে পারেন। কেননা সময়টি খুবই বরকতময়। 

বিরাজমান (শুক্রবার) আসরের সালাতের প্রার্থনা কবুল হয়

শুক্রবার আসর সালতার পর একটি বরকতময় সময় রয়েছে। প্রত্যেকেরই উচিত এই বরকতময় সময় নিজের চাওয়া গুলো আল্লাহর কাছে চেয়ে নেওয়া।

আরও পড়ুনঃ নামাজ ঘরে সুন্দর ইসলামিক মেয়েদের ৩০টি ছবি দেখুন

রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, 

"শুক্রবার একটি সময় আছে, যে ব্যক্তি সেই সময় আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন, আল্লাহ তাকে তা অবশ্যই প্রদান করবেন (সহিহ বুখারি- ৯৩৫, সহিহ মুসলিম -৮৫২)

পরবর্তিতে আবদুল্লাহ ইবনু সালাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,

 "আমি জানি সেই সময়টি- তা হল আসরের নামাজের পর থেকে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত। (ইবনু মাজাহ ১১৩৮)"

  • এইজন্য সর্বপ্রথম অজু করার সাথে আসরের সালাত পালন করতে হবে। 
  • .ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে যেমন আস্তাগফিরুল্লাহ। 
  • তিনি মোহাম্মদ ﷺ এর দুরুদ পাঠ করতে হবে। 

পরে আপনার কাঙ্খিত প্রার্থনাটি করতে হবে। দোয়াটি যতটা সম্ভব অন্তর থেকে করতে হবে, তাই এটি সাআ'তুল ইজবা (দোয়া কবুলের মুহুর্ত) হতে পারে।

ইস্তেগফারের মাধ্যমে ধনুকের তীরের মতো দোয়া কবুল হয় 

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন এবং এই পর্যায়ে জেনে নিন,ইস্তেগফারের মাধ্যমে ধনুকের তীরের মতো দোয়া কবুল হয় কিভাবে?

অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে কিভাবে ইস্তেগফার এর মাধ্যমে খুব সহজেই দোয়া কবুল হয়। হ্যাঁ ঠিক তাই পড়েছেন। এর নিয়মটি হচ্ছে প্রতিদিন যখনই আপনার মনে পড়বে খেতে খেতে, চলতে চলতে, বাসে, রাস্তায় ঠিক তখনই আপনি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে ক্ষমা চাইবেন। অর্থাৎ আপনি আস্তাগফিরুল্লাহ পাঠ করবেন। সাথে নবীজি ﷺ এর দুরূদ পড়বেন। এতে করে আপনি মুস্তাগফির হয়ে যাবেন।অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানা তায়ালা খুশি হয়ে আপনার দোয়া কবুল করবেন।  

রাসূল ﷺ বলেছেন,

 "যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত ইস্তেগফার পাঠ করে, আল্লাহ তাকে প্রত্যেক সংকট থেকে পথ দেখান প্রত্যেক দুঃখ থেকে মুক্তি দেন এবং এমন জায়গা থেকে রিজিক দেন যেখান থেকে সে কল্পনা করতে পারে না (আবু দাউদ, তিরমিজি)"

এছাড়াও মাজিদে আল্লাহ তায়াল লেখক, 

 "আমি বলেছিলাম তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ক্ষমা চাও   (ইগফার কর),নিশ্চয় তিনি মহা ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের ওপর প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি করবেন, তোমাদের জন্য উদ্যান করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী প্রবাহিত করবেন (সূরা আন নূর :১০-১২)" ইস্তগফার শুধু গুনাহমাফেরই কারণ নয়, এটা আপনাকে জীবনকে বরকতময় করবে।

দ্রুত-দোয়া-কবুল-হওয়ার-আমল-ও-দোয়া-কবুল-না-হওয়ার-কারণ-জানুন

সফরে থাকাকালীন সময় দোয়া কবুল হয়

দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন এবং সফরে থাকাকালীন দোয়া কবুল হয় কিভাবে জানুন। হাদিসে আলোকে আমরা জানতে পেরেছি, কোন ব্যক্তি সফরে থাকলে, নিশ্চয় আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তার দোয়া কবুল করেন।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

"তিন ব্যক্তির দোয়া কখনো প্রত্যাখ্যান করা হয় না। 

  • মজলুমের(অন্যায়ভাবে কষ্ট প্রাপ্ত) ব্যক্তি প্রার্থনা 
  • সফরত ব্যক্তির প্রার্থনা
  • পিতা মাতার দোয়া সন্তানের জন্য।  

(তিরমিজি ৩৪৪৮ আবু দাউদ ১৫৩৬)"

কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে দোয়া করতে হয় সফরে থাকাকালীন,চলুন জেনে নেই সেই নিয়মগুলো। 

  • প্রথমত কসর সালাত আদায় করে সালাত নিতে হবে। 
  • দ্বিতীয়ত বেশি ইস্তেগফার এবং দুরুদ পাঠ করা উচিত সফরে থাকাকালীন । 
  • এবং তৃতীয়ত আন্তরিকতার সাথে দোয়া করতে হবে। 
  • সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দোয়া করতে হবে এবং বিশ্বাস রাখতে হবে। 

ঘুম ভাঙ্গার পর শুয়ে দোয়া কবুল হয়

রাতে অনেক সময় ঘুমাতে ঘুমাতে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এই সময়ে অযথায় আমরা মোবাইলে সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করি। এতে করে আমরা গুনাহগার হয়ে যায়। এর বিপরীতে ছোট্ট কিছু কাজ করলেই আমরা আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে পারি। রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, 

"কোন ব্যক্তি ঘুম থেকে উঠার পর, ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহাদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শায়িন ক্বদির, সুবহানাল্লাহ, আলাহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ"।  

এই দোয়াগুলো পাঠ করার পর আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির  দোয়া কবুল করেন।  (সহিহ বুখারী ১১৫৪)

এরপর আপনি দুই রাকাত তাহাজ্জুদ সালাত পরতেও পারেন, আবার নাও পারবেন। তবে এই দোয়াগুলো পড়ার পর আপনি যে দোয়া করবেন, ইনশাআল্লাহ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আপনার দোয়া কবুল করবেন। তাই এখন থেকে যখনই আপনার ঘুম ভাঙ্গবে, অযথা মোবাইলের সিনেমা মিউজিক না দেখে, ছোট্ট এই দোয়াগুলো মুখস্ত করে আপনার চাওয়া গুলো আল্লাহর কাছে চেয়ে নিন। পারলে নামাজ পড়ুন দুই রাকাত অথবা ঘুমিয়ে পড়ুন আবার। 

অসুস্থ অবস্থায় দোয়া কবুল হয়

আমরা অনেক সময় অসুস্থ হলে ভেঙে পড়ি, কিন্তু অনেকেই জানেন না এ অসুস্থতা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে। তাই বলে আমরা আল্লাহর কাছে অসুস্থতা চাইবো এমনটা নয়। অসুস্থ হলে আমরা অবশ্যই আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে সুস্থতা চাইবো। তবে আমাদের জীবনের চলার পথে যখন অসুস্থ হয়েই পড়ি আমরা, আমাদের উচিত আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং দোয়া করা। কেননা রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, " যখন কোন মুসলিম বা মুমিন বান্দা অসুস্থ হয়, আল্লাহ তার পাপসমূহ ছড়িয়ে দেন ঠিক যেমন গাছ থেকে পাতা ঝরে যায়। (সহিহ বুখারী ৫৬৪৭)

আরও পড়ুনঃ বাসক পাতার ১৫টি উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম, কোথায় পাবেন ? জানুন

এছাড়াও কুরআনে বর্ণিত রয়েছে,

"আমি যখন অসুস্থ হই তিনিই আমাকে সুস্থ করেন "(সূরা আস শু'আরা, ৮০)

এখানে ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসুস্থ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালার প্রতি ভরসা প্রকাশ করেছেন। অসুস্থ অবস্থায় তাই আল্লাহর উপর ভরসা করুন ভরসা করুন এবং দোয়া করুন। 

উপসংহারঃ দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন

"দ্রুত দোয়া কবুল হওয়ার আমল ও দোয়া কবুল না হওয়ার কারণ জানুন" সম্পূর্ণ পড়ে, আমল করার চেষ্টা করুন। আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রেখে আপনি এই আমলগুলো করলে নিশ্চয় আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করবেন। দোয়া হচ্ছে মুসলিম ব্যক্তিদের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার যা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। কারণ আল্লাহ তাআলা নিজেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দোয়া একটি ইবাদত। আর এই দোয়া সঠিক নিয়মে বা সঠিক সময়ে করতে জানা, মুমিন ব্যক্তির জন্য জরুরী। উপরের সকল বিষয়গুলো কুরআন ও হাদিসের আলোকে লেখা হয়েছে। মহান আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) এর দেখানো পদ্ধতি ও ওসিলা গ্রহণকারীর সকল হালাল ও বৈধ দোয়া কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ। জাযাকাল্লাহ খাইরান

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url