নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন। নিমের ঔষধি গুণের কথা আমাদের সকলেরই জানা। নিম গাছের পাতা, ডাল ও ফুল মানব দেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিম গাছ আমাদের দেশে অতি পরিচিত একটি ঔষধি গুনসম্পন্ন বৃক্ষ। প্রাচীনকাল থেকেই চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য সমাধানে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
এই গাছের প্রতিটি অংশে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সব ঔষধি গুনাগুন। এই নিম পাতার গাছকে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে জাদুকারী পাতা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এই আর্টিকেলটি
কার্যকারী উপকারিতা ও উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে আরো বর্ণনা
করা হয়েছে কিভাবে আপনি যথাযথ উপকার পাবেন।
সূচিপত্রঃ নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
- নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
- নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা
-
চুলের যত্নে নিম পাতা ব্যবহার
-
ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
- চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতা ব্যবহার
-
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতা ব্যবহার
-
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
-
শিশুদের জন্য নিম পাতা ব্যবহার
-
নিমের পুষ্টি গুণগতমান
-
নিম পাতার অপকারিতা
নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
নিম পাতা হচ্ছে একটি ভেষজ বৃক্ষ যা প্রায় ৫ হাজার বছর ধরে এশিয়াই ব্যবহার
হচ্ছে। নিম গাছের বৈজ্ঞানিক নাম "Azadirachta Indica" এই ভেষজ উদ্ভিদ
ব্যবহার হয়েছে প্রাচীনকাল থেকে নিম গাছের বিভিন্ন অংশ। নিম গাছের প্রতিটি
অংশ কাজে লাগে। যেমন-পাতা, ফল, চাল-বাকল, বীজ,নিমের তেল ও নিমের গাছের কাঠ দিয়ে
বিভিন্ন আসবাবপত্র তৈরি করা হয়। নিম গাছ চিনি না এমন লোক পাওয়া দুষ্কর।
বাণিজ্যিকভাবে নিম গাছ রোপন করা হয়। নিম গাছ সব ধরনের মাটিতে জন্মে থাকে।
"নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন" এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মানব
দেহের কল্যাণের জন্য কার্যকরী উপকারিতা গুলো বর্ণনা করা হয়েছে। যাতে করে নিম
পাতার বা নিম গাছের বিভিন্ন যথাযথ উপকার পাওয়া যায়। আমরা অনেকেই জানি
নিম গাছ অত্যন্ত উপকারী কিন্তু সঠিক নিয়ম না জানার কারণে যথাযথ উপকার পাওয়া
যায় না। তাই নিম্নে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে কিভাবে নিম গাছ থেকে যথাযথ উপকার
পাওয়া যায় ও অপকারিতা বা সতর্কতা গুলো কি।
নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা
নিম পাতার উপকারিতা লিখে শেষ করার যাবে না। তবে অনেক উপকারে মাঝে কিছু
কার্যকরী উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে,
উন্নতিশীল দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অধিবাসী চিরাচরিত চিকিৎসা ভরসা করে
থাকেন নিমগাছ। তাই আসুন আমরা কার্যকরী উপকারিতা গুলো জানার
চেষ্টা করি।
- রক্ত পরিষ্কার করেঃ রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার ব্যবহার অপরিসীম। নিম পাতার রস বিভিন্ন রক্তে থাকা ক্ষতিকারক পদার্থগুলো শরীর থেকে বের করে। তাই রক্ত পরিষ্কার করতে নিম পাতার রস খেতে পারেন।
-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করেঃ যারা রক্তচাপ রোগে ভুগছেন তাদের জন্য নিমপাতা
একটি অত্যন্ত উপকারী উপাদান। নিয়মিত নিম পাতা খেলে রক্ত চলাচল সচল থাকে এবং
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
-
হজম শক্তি বাড়ায়ঃ বদহজম দূর করে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
নিমপাতা। হজম শক্তি বাড়ায় পাশাপাশি পেট ফাঁপা ও ভাপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর
করে।
-
কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করেঃ রক্তের কোলেস্টেরল কমাতে গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা রাখে নিম পাতা। যারা কোলেস্টরের সমস্যায় ভুগছেন নিয়মিত নিম পাতার রস
খেতে পারেন অথবা নিম পাতা পানিতে ভেজানো পানি খেতে পারেন।
-
খোস পাঁচরা নিরাময় করেঃ দীর্ঘদিনের খোস পাঁচরা নিরাময়ের
জন্য নিম পাতা অত্যন্ত কার্যকর। নিম পাতার সাথে কাঁচা হলুদ বেটে খোস
পাঁচরা জায়গায় ব্যবহার করলে ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়।
-
মুখে রুচি বাড়াতে নিমপাতাঃ যাদের মুখে রুচি কমে গেছে অথবা মুখের রুচি
কম এই সমস্যা দূর করতে নিম পাতা বেস্ট কার্যকর। মুখে রুচি পড়াতে খাবারের
সাথে অল্প পরিমাণ নিম পাতার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
- অ্যালার্জি ও চুলকানি ভালো হয়ঃ চুলকানি দূর করতে নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। অ্যালার্জি ও চুলকানি দূর করতে। পানির সাথে নিমপাতা মিশিয়ে গরম করার পরে, সেই পানি দিয়ে গোসল করলে এই সমস্যা দূর হয়।
-
ব্যথা নিরাময় করেঃ দীর্ঘদিনের ব্যাথা দূর করতে অবশ্যই নিম পাতার
ব্যবহার করুন। নিমপাতার তেল ব্যবহার করুন।
-
খুসখুসে কাশি ভালো হয়ঃ দীর্ঘদিনের খুসখুসে কাশি অথবা সর্দি ভালো না হলে
অবশ্যই নিম পাতার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খান। এতে দ্রুত সুস্থতা পাবেন।
-
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ায়ঃ নিয়মিত অনিমিকতা ব্যবহার করলে ত্বকের
সৌন্দর্য বৃদ্ধি হয় এবং বয়সের ছাপ দূর করে। বিভিন্ন দাগ দূর করে।
চুলের যত্নে নিম পাতা ব্যবহার
চুলের যত্ন নিম পাতার ব্যবহার অত্যন্ত উপকারী। চুলের পরিচর্যাতে বিভিন্নভাবে
ব্যবহার হয় নিমপাতা। মাথার বিভিন্ন সমস্যা যেমন-চুল পড়া রোধ করে, খুশকি দূর
করে, মাথার চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, চুল দ্রুত বেড়ে উঠতে সাহায্য করে,
দ্রুত চুলপাকা থেকে রক্ষা করে, মাথার উকুন দূর করে এবং বিভিন্ন রকম চুলের আদ্রতা
ঠিক রাখে। তাই এ সকল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে, চুলের যত্ন নিম পাতার ব্যবহার
জেনে নিন
- নিম পাতার ফোটানো পানিঃ প্রথমে পরিমাণ মতো কিছু তাজা পাতা নেন এবং ভালোভাবে ধুয়ে পানির সাথে ফুটিয়ে নিন। এরপরে পানি ঠান্ডা করে, সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।
-
নিম পাতার তেল ব্যবহারঃ বাজারে বিভিন্ন প্রকার নিম পাতার তেল পাওয়া
যায় সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা যায়।
যেমন-নারিকেল তেল অথবা তিলের তেলের সাথে পাতা মিশিয়ে গরম করে, তেল তৈরি করা
যায়। ঠান্ডা হওয়ার পরে মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন।
-
নিম পাতার পেস্টঃ নিম পাতা বেটে পেস্ট তৈরি করুন।
তারপর বাটানিমপাতা মাথার ত্বকে ২০-২৫ রেখে দেন। এরপর হালকা গরম পানি
দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের যত্নে নিম পাতার ব্যবহার
নিম পাতার ত্বকের স্বাস্থ্যরক্ষায় অসাধারণ কার্যকারিতা পালন করে। নিম পাতায়
রয়েছে, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি যা ত্বকের বিভিন্ন
সমস্যা সমাধান করে। ত্বকের বিভিন্ন রকম সমস্যা দূর করে নিমপাতা। যেমন-ব্রণের
সমস্যা দূর করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে, বয়সের ছাপ দূর করে, ত্বকের
বিভিন্ন ফাঙ্গাস জনিত সমস্যা দূর করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। নিম্নে
তাকে যত্ন নিম পাতার ব্যবহার দেওয়া হল।
- নিম পাতার রসঃ নিম পাতার রস মুখে লাগালে ত্বক পরিষ্কার হয়। নিম পাতার রস তুলার সাথে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন।
-
নিমের তেলঃ বাজারে বিভিন্ন রকম নিমের তেল পাওয়া যায় সেই তেল ব্যবহার
করতে পারেন। অথবা ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করতে পারেন।
-
নিমপাতা হলুদ একসাথে ব্যবহারঃ নিম পাতা ও হলুদের ফেস ব্যাগ তৈরি
করে মুখে ২০ বিশ মিনিট মতো লাগিয়ে রাখুন। পর এরপর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে
ফেলুন।
-
নিমপাতা বাটা বা পেস্টঃ নিমপাতা বেটে সুন্দরভাবে মুখে লাগিয়ে নিয়েন।
এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এতে করে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে
এবং বিভিন্ন দাগ দূর হবে।
চোখের চুলকানি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার
নিমপাতা চোখের চুলকানি দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর। অনেক সময় বিভিন্ন চোখের
চুলকানি অথবা অসস্তি দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার প্রাচীনকাল থেকে হয়ে আসছে।
চোখের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে, চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে, এবং
চোখকে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। আসুন আমরা জেনে নেয়, চোখের সমস্যা
দূর করতে নিম পাতার ব্যবহার।
- প্রথমে কয়েকটি নিম পাতা সংগ্রহ করুন এবং ভালোভাবে পরিষ্কার করুন।
-
এরপর পানির সাথে মিশিয়ে, পানি ও নিম পাতা একসাথে গড়গড় করে ফুটিয়ে
তুলনায়।
- পানিকে ঠান্ডা করে নিন।
-
এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে চোখ আলতোভাবে ধুয়ে নিন।
এতে করে, চোখের লালচে ভাব ও বিভিন্ন চুলকানি সমস্যা দূর হয়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিম পাতার ব্যবহার
ডায়াবেটিস রোগ বর্তমানে জাতীয় রোগ হিসেবে পরিচিত। তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
নিমপাতা অত্যন্ত উপকারী। কারণ নিম পাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে বেশ
কার্যকরী ভূমিকা রাখে। নিম পাতায় রয়েছে কিছু পরিমাণের উপাদান যা
শরীরের রক্তে শতকরার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। যা ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে
অত্যন্ত জরুরী।
নিম পাতার রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তে গ্লুকোজের
মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়ম করে নিম পাতার রস পান করেন
তাহলে এই সকল উপকার পাবেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি শরীরের
অন্যান্য সমস্যা দূর করে এই নিমপাতা। ফলে অবশ্যই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতে
প্রতিদিন নিমপাতা ব্যবহার করুন।
নিম পাতা খাওয়ার নিয়ম
নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন এবং নিয়ম জেনে ব্যবহার করুন তাহলে
অবশ্যই আপনি অধিক উপকার পাবেন। নিম পাতা বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় অথবা নিম পাতার
ব্যবহার বিভিন্নভাবে করা যায়। বিভিন্ন জায়গায় প্রচারণ আছে নিম পাতা শাকের মতো
রান্না করেও খাওয়া হয়। তবে আসুন আমরা জেনে নেই সবচাইতে কার্যকরী নিয়ম।
- অল্প পরিমাণ তাজা নিমপাতা সংগ্রহ করুন এরপর ভালোভাবে ধুয়ে চিবিয়ে খেতে পারবেন।
-
নিম পাতার রস বানিয়ে খেতে পারবেন। নিম পাতার রস বানাতে, কিছু পাতা সংগ্রহ
করুন এরপর ব্লেন্ডার অথবা বেটে নিম পাতার রস তৈরি করুন। প্রতিদিন সকালে খালি
পেটে ১ চামচ করে পান করলে বিভিন্ন রোগ মুক্তি পাওয়া যায়।
-
নিম পাতা গুড়া করে খাওয়া যায়। নিমপাতা পুরো করে সংরক্ষণ করা যায় এবং
দীর্ঘদিন যাবত খাওয়া যায়। নিম পাতার গুঁড়ো পানির সাথে মিশিয়ে খেতে হয়।
নিম পাতার গুঁড়ো অনলাইনে অথবা বিভিন্ন সুপার শপ বা স্টোরে পাওয়া
যায়।
-
আপনি চাইলে নিমপাতা সিদ্ধ করে খেতে পারবেন। নিম পাতা পানিতে ফুটিয়ে, চায়ের
মত করে খাওয়া যায়।
-
নিম পাতার বডি অথবা পাউডার বানিয়ে খাওয়া যায়।
-
নিমপাতা দিয়ে প্রতিদিন গোসল করা যায়। নিম পাতার সাথে পানি মিশিয়ে গরম
করে গোসল করা যায়.
শিশুদের জন্য নিম পাতা ব্যবহার
অনেকে মনে করে, শিশুদের জন্য নিমপাতা ব্যবহার করা যায়। তবে নিম পাতা প্রাকৃতিক
হলো শিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে নিম পাতা ব্যবহার থেকে
বিরত থাকুন। শিশুদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং লিভার পূর্ণ বিকশিত হয় না
যার ফলে শিশুদের জন্য নিমপাতায় একেবারেই উপযুক্ত নয়।
নিমপাতা তে থাকা শক্তিশালী অ্যালকালয়েড শিশুদের শরীরের জন্য একেবারেই
উপযুক্ত নয়। নিমের রস বাচ্চাদের পান করালে লিভারের সমস্যা হতে পারে এবং ত্বকে
বিভিন্ন প্রকার অ্যালার্জি সমস্যা হতে পারে। তাই নবজাতক থেকে ৫ বছরের
কম বয়সী শিশুদের নিম পাতা থেকে দূরে রাখুন।
নিমের পুষ্টি গুণগতমান
ইতিমধ্যেই আমরা নিম পাতার অনেক উপকারিতা জেনেছি তবে এর পুষ্টিগুণ আপনি জানলে
অবশ্যই নিম পাতা ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত হবেন। নিমের পুষ্টি গুণগতমান নিম্নে
সংক্ষেপে বর্ণনা করা হলো। এক কাপ নিমপাতার পুষ্টিগতমান নিম্নে দেওয়া হল।
- এক কাপ নিমপাতা= ৩৫ গ্রাম
- প্রোটিন= ২.৪৮ গ্রাম
- ক্যালোরি=৪৫ গ্রাম
- আয়রন=৫.৯৪ মিলিগ্রাম
- ফ্যাট=০.০৩ গ্রাম
- ফাইবার=৬.৭৭ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম=১৭৮.৫ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম=৮৮.৯ মিলিগ্রাম
- সোডিয়াম=২৫.২৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম=৪৪.৪৫ মিলিগ্রাম
- ফসফরাস=২৩ মিলিগ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট=৮.১ গ্রাম
নিম পাতার অপকারিতা ও সতর্কতা
নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন সম্পর্কে আমরা
বিস্তারিত জেনেছি। তবে সব জিনিসেরই ভালো দিক আর কিছু খারাপ দিক আছে।
নিম গাছ যেমন হাজারো ঔষধি গুণে গুণান্বিত একটি উদ্ভিদ তবে এর কিছু অপকারিতা
ও পার্থ প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
- বাচ্চাদের নিমপাতা খাওয়া ও ব্যবহার বিরত রাখুন।
-
গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে নিমপাতা সহায়ক নয়। গর্ভপাত পর্যন্ত হতে
পারে।
-
নিম্ন রক্তচাপ রোগীদের নিম পাতা ব্যবহার না করা ভালো।
-
নিম পাতা ব্যবহারের ফলে যদি মাথা ব্যথা হয় তাহলে সাথে সাথে নিম পাতা ব্যবহার
বন্ধ করুন।
-
খালি পেটে নিমপাতা বেশি দিন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
-
শরীরে অন্যান্য রোগ থাকলে, ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিম পাতা ব্যবহার করুন
ও পান করুন।
উপসংহারঃ নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন
"নিম পাতার কার্যকরী উপকারিতা ও অপকারিতা জানুন" আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ
মানুষের উপকারের জন্য আলোচনা করা হয়েছে। এখানে নিম পাতার সবচাইতে কার্যকারী
উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। নিম পাতার রস খাওয়ার নিয়ম ও নিম পাতার
ব্যবহার সম্পর্কে দেওয়া হয়েছে। শুধু নিমপাতা নয়, সাথে নিম পাতার ছাল-বাকল ও
ফুল সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।
নিমপাতা মানব দেহের জন্য কেন উপকারী এবং প্রতিদিন কি পরিমানে নিম পাতা সেবন
করলে যথাযথ উপকার পাওয়া যায় ইত্যাদি বর্ণনা করা হয়েছে। নিম পাতা পরিণত
ব্যবহারে সার্বিক স্বাস্থ্যের উপকার হয় এবং তার শরীরকে বিভিন্ন রোগের হাত থেকে
বাঁচাতে সাহায্য করে। তাই আসুন আমরা নিয়ম জেনে, নিম পাতা থেকে যথাযথ উপকারিতা
নেয়। ধন্যবাদ
ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url