স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন, সাথে জেনে নিন চাষ করার নিয়ম ও অপকারিতা বা সতর্কতা। স্কোয়াশ বা জুকিনি, দুটি নামের ডাকা হয় এই সবজিকে। এটি একটি বিদেশি সবজি হলেও বাংলাদেশে এর পরিচিতি দিন দিন বাড়ছে কারণ এর পুষ্টিগুণ। আমরা এই সবজি সম্পর্কে জানলেও পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে অনেকেই জানিনা।

স্কোয়াশ-১০টি-উপকারিতা-ও-পুষ্টিগুণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

আপনি জানলে অবাক হবেন এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে এবং স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপকারী এই স্কোয়াশ সবজি। এটি দক্ষিণ আমেরিকার একটি জনপ্রিয় খাদ্য তবে বাংলাদেশে এখন নিয়মিত চাষ হচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় এই সবচেয়ে পাওয়া যায়। স্কোয়াশ একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু জি সবজি যা, বিভিন্ন ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ভরপুর যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

সূচিপত্রঃ স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্কোয়াশ এক ধরনের সবজি এটি মূলত আমেরিকান মহাদেশের তবে বাংলাদেশে এর চাষাবাদ হচ্ছে। লাউ এর মত দেখতে একটি সবজি স্কোয়াশ। স্কোয়াশ সবজির বৈজ্ঞানিক নাম "Cucurbita spp. জিনাস" এই সবজির বিভিন্ন প্রজাতির রয়েছে। যেমন- Cucurbita pepo, Cucurbita maxima, Cucurbita maschata ইত্যাদি। স্কোয়াশ গাছের ডাল পালা জালের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় জন্মায়। স্কোয়াশ সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক উপাদান যা মানব দেহের নানা ধরনের রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে।
মানুষের শরীরের মধ্যে এন্টি মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল সরাসরি উৎপাদন করতে পারে স্কোয়াশ। এই সবজির মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন এ, সি, ই, ও বি-৬। বাংলাদেশে চাষের উপযোগী হচ্ছে-হলুদ স্কোয়াশ, গ্রীন স্কোয়াশ, গ্রিন গোল স্কোয়াশ। স্কোয়াশ খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু নাও লাগতে পারে অনেকের কাছে তবে এটির ঔষধি গুনাগুন জানলে যে কোন মানুষে খাওয়ার ইচ্ছা করবে। এই আর্টিকেলটি "স্কোয়াশ" সম্পর্কে বিভিন্ন প্রকার তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ে "স্কোয়াশ" সম্পর্কে জেনে নিন এবং এর থেকে যথাযথ উপকারিতা নিন।

স্কোয়াশের পুষ্টিগুণ

স্কোয়াশর প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা মানব দেহের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। অনেকেই বলে থাকেন এই সবজিকে "পুষ্টির ভান্ডারঃ" স্কোয়াশ থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ও বিটা ক্যারোডিন পায়। স্কোয়াশে রয়েছে অনেক পরিমানে ডায়েটারী ফাইবার। আসুন আমরা জেনে নেই প্রতি ১০০ গ্রাম স্কোয়াশে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম স্কোয়াশের পুষ্টি গুণগত মান দেওয়া হল
  • ফাইবার=১.০০ গ্রাম
  • প্রোটিন=১.২১ গ্রাম
  • ফসফরাস= ৩৮.০০ মিলিগ্রাম
  • পটাশিয়াম=২৬১.০০ মিলিগ্রাম
  • সোডিয়াম=৮.০০ মিলিগ্রাম
  • শক্তি=১৭.০০ কিলোক্যালরি
  • ক্যালসিয়াম=১৬.০০ মিলিগ্রাম
  • ম্যাগনেসিয়াম=১৮ মিলিগ্রাম
  • ফ্যাট=০০.৪  গ্রাম
  • পানি=৯৪.৮০ গ্রাম
  • সেলেনিয়াম=০.২ মাইক্রগ্রাম
  • ভিটামিন সি= ১৭.৯ মিলিগ্রাম

স্কোয়াশ সবজির ১০টি উপকারিতা

  1. হজম শক্তির উন্নতি হয়ঃ স্কোয়াশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ দাইদ্রি ফাইবার যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  2. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করেঃ স্কোয়াশ একটি উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি যা হজম স্বাস্থ্যকে উন্নত করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর করে।
  3. দৃষ্টিশক্তি উন্নতি করেঃ স্কোয়াশে থাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন ও জেক্সানথিন যা চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
  4. ত্বকের সুরক্ষা দেয়ঃ স্কোয়াশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের সুরক্ষা দিতে দারুণ ভূমিকা রাখে।
  5. চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়ঃ স্কোয়াশে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন ভিটামিন যার ফলে চুলের বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সুরক্ষা দেয়।
  6. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি করেঃ স্কোয়াশে থাকে প্রচুর পরিমাণে "ভিটামিন সি" যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
  7. ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়ঃ স্কোয়াশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের ফ্রী-রেডিক্যাল দূর করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুসে ক্যান্সার সহ বিভিন্ন রকম ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায়।
  8. হাড়কে মজবুত করেঃ স্কোয়াশের ম্যাঙ্গানিজ শরীরের হাড়ের বিভিন্ন রকম ঘনত্ব বৃদ্ধি করে। যা স্পয়লারের জন্য অনেক উপকারী এই সবজি নিয়মিত খেলে, মানুষের বয়স বৃদ্ধি হলেও হাড় সুরক্ষা থাকে।
  9. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ থাকেঃ স্কোয়াশ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে দারুণ ভূমিকা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য নিয়মিত খাওয়া জরুরী স্কোয়াশ। স্কোয়াশে থাকে অল্প পরিমাণে গ্লাইসোনিক ইনডেক্স।
  10. হার্টের সুরক্ষা দেয়ঃ স্কোয়াশ শরীরের অক্সিজেন বৃদ্ধির মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা উন্নত করে। যা শরীরের হার্ট অ্যাটাক স্টোকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

স্কোয়াশ খাওয়ার নিয়ম

স্কোয়াশ বিভিন্ন রকম ভাবে খাওয়া যায়। তবে বাংলাদেশ তরকারি ও ভাজি হিসেবে ব্যবহৃত হয় বেশি।স্কোয়াশে যেকোনো সবজি মিশিয়ে তরকারি হিসাবে বা ভাজি হিসেবে রান্না করা যায় এতে তরকারি স্বাদ বেড়ে যায়। তবে অধিক পুষ্টিগুণ পেতে আপনাকে কাঁচা খেতে হবে। কাঁচা স্কোয়াশ খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে-ছোট এবং কচির স্কোয়াশ সুন্দর হবে প্রথম ধুয়ে নিতে হবে এরপর কাঁচা স্কোয়াশ চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে অথবা সালাত বানিয়ে খেতে পারে।

বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় খাবার পিউরি, রান্না করা স্কোয়াশকে নরম করে পিউরি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। স্কোয়াশের আচার হিসেবেও খাওয়া যায়, বর্তমানে জনপ্রিয় খবর হচ্ছে স্কোয়াশ আচার যা  জলপাই তেল ও অন্যান্য মসলা দিয়ে তৈরি করা হয়। স্কোয়াশের বীজ ভেজে খাওয়া যায় এবং পাতা সবজি হিসাবে খাওয়া যায়।
স্কোয়াশ-১০টি-উপকারিতা-ও-পুষ্টিগুণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

স্কোয়াশের চূর্ণ বীজ ব্যবহারের নিয়ম ও উপকারিতা

স্কোয়াশের চূর্ণ বীজ ব্যবহারের নিয়ম জানার অত্যন্ত জরুরী। কারণ স্কোয়াশের বীজ অত্যন্ত পুষ্টিকর ও বহুমুখী, চূর্ণ বীজের ভাজা অত্যন্ত সুস্বাদু খাবার। চূর্ণ বীজের ভাজার সাথে লবণাক্ত মশলাদার করে খাওয়া যায়। আসুন আমরা প্রথম জেনে নেয়, কিভাবে বীজ সংগ্রহ করে এবং তা প্রস্তুত করে।
  • পাকা স্কোয়াশ কাটার পর বীজগুলো বের করে নিতে হবে। 
  • এগুলো রুচি অনুযায়ী খোসা সহ বা খোসা ছাড়া দুই ভাবেই খাওয়া যায় তবে ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে খেতে হবে। উপকারিতা
  • তবে খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ভেজে নিতে হবে এবং বীজগুলো ভাজার জন্য এতে হালকা লবণ এবং মসলা দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে ছেড়ে চুলায় ভেজে নিতে হবে।
  • এই মজাদার নাস্তাটি আরো স্বাদযুক্ত করতে সহজ বা সালাদ জোর করা যেতে পারে।
  • এই এই সুস্বাদুকর খাবারটি থেকে বেশি পুষ্টিগুণ পেতে বীজগুলো অঙ্কুরিত করে খাওয়া উচিত।
  • এবং অতিরিক্ত পুষ্টি পেতে বীজগুলোকে বাদাম বা অন্যান্য বীজের সাথে পেস্ট তৈরি করেও খাওয়া যেতে পারে।
উপকারিতা
অথবা
স্বাস্থ্যকর হৃদপিণ্ড ও লিভারঃ
এই বীজে থাকা স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হৃদপিন্ডের নানা রোগ কমাতে সাহায্য করে যেমনঃ অ্যাথেরোসকোলেরোসিস এবং লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। লিভারের যেকোনো ধরনের অনিয়ম থেকে রক্ষা করে।

পুষ্টিকর খাদ্যঃ
এটি শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে। এটি শুধু একটি খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয় না, বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে এটি যুক্ত করা যেতে পারে যেমন সুপ বা সালাদ। তাই ফেলে যাওয়া বীজগুলো অপচয় রোধের জন্য পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্কোয়াশ অন্যান্য ব্যবহার

"স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন" এবং সাথে অন্যান্য ব্যবহার যেন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। স্কোয়াশ একটি বহুমুখী সবজি যার ব্যবহার অনেক বেশি। যেমন- শিকড়, মূল, কাণ্ড, ফল বীজ ও পাতাসহ সবকিছুই খাওয়া যায়। স্কোয়াশ প্রতিদিন শালাদ হিসেবে খাওয়া যেতে পারে।

স্কোয়াশের ফল রান্না করা যায় এবং এটি বিভিন্ন ভাজী, মাছ ও মাংসের সাথে রান্না করা যায়। স্কোয়াশের গাছের মূল সবজি হিসাবে রান্না করে খাওয়া যায় ও সাথে বিভিন্ন সবজির সংমিশ্রণে রান্না করা যায়। যেমন-আলু, পটল বা অন্যান্য ছবির সাথে রান্না করা যায়। তবে যেভাবে রান্না করা হোক না কেন এর পুষ্টিগুণ অনন্য তাই প্রতিদিন বাড়িতে স্কোয়াশের ব্যবহার বাড়ান।

স্কোয়াশ চাষ করার নিয়ম

ভিন্ন জাতের এই সবজিটি বাংলাদেশেও চাষ হচ্ছে বেশ লাভজনক হবে। তবে প্রয়োজন সঠিকভাবে চাষাবাদ করা। স্কোয়াশ চাষ করার জন্য সর্বপ্রথম প্রয়োজন সঠিক মাটি। এজন্য সুন্দরভাবে বেলেদোয়াশ মাটি তৈরি করতে হবে। জমি খুব ভালোভাবে তৈরি করতে হবে যাতে পর্যাপ্ত রোধ থাকে এবং আগাছা পরিষ্কার করে ফেলতে হবে।

স্কোয়াশ চাষের অন্যতম সময় হচ্ছে সেপ্টেম্বর অক্টোবর যেহেতু এটি একটি শীতকালীন ফসল মূলত। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে বীজ বপন করা যেতে পারে।শতক প্রতি প্রায় ১০ গ্রাম বীজ লাগতে পারে।
ভালো ফলন পাওয়ার জন্য সবথেকে বুদ্ধিমানের বিষয় হলো সঠিক জাত নির্বাচন করা ।বাড়ি স্কোয়াশ  একটি উচ্চ ফলনশীল জাত,ঃ পরাগায়নের পর থেকে বেশ কিছুদিনের মধ্যেই সংগ্রহ করা যায় যেমনঃ ১৫ থেকে ১৬ দিন। এই জাতের গড় আয়ু ৮০ থেকে ৯০ দিন এবং গড়ফলের ওজন এক কেজির কাছাকাছি।

ভালো ফলন পাওয়ার জন্য সার প্রয়োগ ও সেচ এর ব্যবস্থা করতে হবে। মাটির তৈরির সময় মাদা প্রতি গোবর ১০ কেজি, এমওপি গ্রা্‌ম, টিএসপি ৬০ গ্রাম এবং ম্যাগনেসিয়াম অক্সাইড ৮গ্রাম মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। অবশ্যই চারা রোপনের সাত থেকে দশ দিন পূর্বে এই মাটিটি তৈরি করতে হবে।
চারা রোপনের ১০ থেকে ১৫ দিনের মাথায় ইউরিয়া ৩০ গ্রাম এবং এমওপি ২৫ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে;
৩০ থেকে ৩৫ দিন এর মাথায় ২৫ গ্রাম ইউরিয়া প্রয়োগ করতে হবে স্কোয়াশ ভেজা মাটি পছন্দ করে তাই প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিতে হবে।

কোয়াশ চাষের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে মালচিং। মাটির আর্দ্রতা ধরে রাখতে এবং জমির আশেপাশের পরিবেশের তাপমাত্রার ঠিক রাখতে মালচিং এর ভূমিকা অপরিসীম।

স্কোয়াশ গাছের পরিচর্যা

স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন বিস্তারিত জেনে সঠিক পরিচর্যা করুন।
১। স্কোয়াশ গাছ পরিপূর্ণভাবে পরিপক্ক হতে এবং সঠিক পরিমাণ পুষ্টি পেতে জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে। নতুবা এই প্রতিদ্বন্দ্বী গাছগুলো মাটির পুষ্টি সাধন করে ফেলবে।
২। গাছের গোড়ার শাখা গুলো কেটে ফেলতে হবে। কারণ এগুলো গাছের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।
৩। পাঁচ দিন পর পর খেয়াল রাখতে হবে যেন গাব পোকা গাছকে দমন করতে না পারে।
৪। মাছি পোকা দমনের সেক্স ফেরমন ট্র্যাপ ব্যবহার করতে হবে।
৫। পরিমাণ মতো পানি বা সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।
স্কোয়াশ-১০টি-উপকারিতা-ও-পুষ্টিগুণ-সম্পর্কে-বিস্তারিত-জানুন

কোন ধরনের স্কোয়াশ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়

স্কোয়াশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সবজি হলেও কিছু জাত রয়েছে যেগুলো খাওয়া উচিত নয় তার মধ্যে অন্যতম হলো যে স্কোয়া কিউকার বিটাশীল নামক বিষাক্ত উপাদান থাকে এবং যার কারণে স্কোয়াশটি তেতো স্বাদের হয় সেই ধরনের স্কোয়াশ খাওয়া উচিত নয়, কারণ এতে বিভিন্ন ধরনের গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে যেমন পেটে ব্যথা বমি বমি ভাব।
আবার কিছু স্কোয়াশে ফাঙ্গাস জমে যায় সেগুলো নষ্ট হয়ে যায় তাই এগুলো খাওয়া উচিত নয়। বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা যেতে পারে যেমন। এটির লিভার, পিত্তথলি, কিডনি এবং অগ্নাশয় কে প্রভাবিত করতে পারে কিছু সময় স্কোয়াশ খাওয়ার ফলে স্কোয়াশ সিনড্রোম হতে পারে।

স্কোয়াশ অপকারিতা ও সতর্কতা

স্কোয়াশের প্রধান অপকারিতা হল কিছু ক্ষতিকারক স্কোয়াশ জাত। যেগুলো খেলে নানা ধরনের গুরুতর সমস্যা হতে পারে। আবার কিছু কিছু স্কোয়াশে ফাঙ্গাস জন্মে যেতে পারে ফলে আর্থিকভাবে অনেক ক্ষতি সাধন হয় চাষাবাদের। স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।

স্কোয়াশ চাষাবাদের ক্ষেত্রে প্রধান সর্তকতা হচ্ছে সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখা। এবং ফাঙ্গাস দমনের জন্য অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার না করা এতে করে পরিবেশ এবং জনস্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। স্কোয়াশ চাষাবাদের আরেকটি অন্যতম সতর্কতা হচ্ছে রোগ প্রতিরোধী জাত নির্বাচন করা এবং পরিমিত পরিমাণে সুষম সার প্রয়োগ করা।

উপসংহারঃ স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

স্কোয়াশ ১০টি উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন। স্কোয়াশের গুরুত্ব তার পুষ্টিগুণ এবং অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে অনেক তাৎপর্যতা রয়েছে। এই আর্টিকেলটিতে সম্পূর্ণ বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে "স্কোয়াশ" সম্পর্কে। পুষ্টিগুণে ভরপুর স্কোয়াশ শরীরকে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং অর্থনৈতিকভাবে এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা।

বর্তমানে বাংলাদেশে এই সবজির চাষ হচ্ছে পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এই সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ বিস্তারিত পড়ে স্কোয়াশ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে আপনিও চাষ অথবা খেতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ইজনাির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url